দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মালয়েশীয়ার বিমান নিখোঁজোর কথা মানুষ হয়তো ভুলেই যেতে বসেছিল। কিন্তু মানুষকে আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে ওই নিখোঁজ বিমানের সন্ধান পেতে তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বহুদিন পর সংবাদ মাধ্যমে আবার খবর হয়ে এলো মালয়েশীয়ান বিমান নিখোঁজের কাহিনী। এবার বলা হয়েছে, নিখোঁজ বিমানের অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্যদাতাকে পুরস্কৃত করা হবে। আর তাই এই কাজ করতে তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে বিমানটির আরোহীদের স্বজনরা।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, অন্তত ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার দেয়ার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই তহবিল সংগ্রহ শুরু করেছেন একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মালিক নিখোঁজ বিমানের এক স্বজন ইথানা হান্ট।
রবিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই উদ্যোগটির নামকরণ করা হয়েছে ‘রিওয়ার্ড এমএইচ৩৭০’। তারা তহবিল সংগ্রহের জন্য ইন্ডিয়েগোগো (Indiegogo) নামে একটি ওয়েব সাইটও চালু করেছে।
বিমানের খোঁজে বিশ্বের বহুদেশের যৌথ অংশগ্রহণে অভিযান চালানো ইতিহাসের ব্যায়বহুল হলেও এর ফলাফল শূন্য। বরং বিমানটি ‘জ্ঞাতসারেই’ গন্তব্যস্থল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে। আর সেই প্রেক্ষিতে সঠিক তথ্যদাতাকে পুরস্কার দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন স্বজনরা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বজনরা জানিয়েছেন, বিমানের বিষয়ে সঠিক তথ্যদাতাকে উৎসাহিত করতেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংগামী মালয়েশীয়া এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি গত ৮ মার্চ ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে নিখোঁজ হয়। স্যাটেলাইটে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে কর্মকর্তারা সে সময় বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহর থেকে উত্তর-পশ্চিমে অর্থাৎ ভারত মহাসাগরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। কিন্তু এলাকাটিতে বহুদিন অনুসন্ধান চালিয়ে বিমানের কোনো চিহ্নই খুঁজে পায়নি। এমনকি অত্যাধুনিক তরঙ্গ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহাসাগরের তলদেশে বিমানের ব্ল্যাকবক্স রয়েছে এমন লক্ষণও পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এর ফলাফল ছিল শূন্য। এখনও এই বিমানটি পৃথিবীর ইতিহাসে রহস্যজনক নিখোঁজের তালিতায় রয়েছে।
বিমানটির ভাগ্য সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও বিমানের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং তথ্য গোপন করছে বলে অভিযোগ করেছেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহাথির মোহাম্মদ।
এছাড়া ভিয়েতনাম সাগরের কাছাকাছি কোনো স্থানে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের সেনাবাহিনীর যৌথ মহড়ার সময় বিমানটি গুলি করে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক অ্যাংলো-আমেরিকান সাংবাদিক নাইজেল ক্যাথর্ন।