দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতে লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি। আগামী ৩০ মে পুনর্বার সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি।
ওই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কী যাচ্ছেন? বিষয়টি নিয়ে চলছে বিশ্ব রাজনীতিতে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
ইন্ডিয়া টুডে ও রয়টার্সের খবরে বলা হয় যে, সেই শপথ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি!
রয়টার্স লিখেছে যে, লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধানোর ফায়দা নিয়ে মোদী ক্ষমতায় টিকে যান বলে অনেকেরই ধারণা রয়েছে, তবে শপথ অনুষ্ঠানে পাকিস্তান বাদ পড়ায় দুই দেশের সম্পর্ক অচিরে উষ্ণ হওয়ার কোনো রকম সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির উল্লেখ করে রয়টার্স আরও লিখেছে, এবার কেবলমাত্র বিমসটেক জোটভুক্ত দেশগুলোর নেতাদেরই শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
নয়া দিল্লির আরেকটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণের তালিকায় পাকিস্তানের নাম নেই।
দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা-সার্ককে পাশে রেখে গত কয়েক বছর ধরেই বঙ্গোপসাগরীয় অর্থনৈতিক জোট বিমসটেককে গুরুত্ব দিয়ে আসছে ভারত।
এই জোটে রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ৩০ মের অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন বলে জানানো হয়।
‘প্রতিবেশীরা আগে’- এই নীতিতে বিমসটেক দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়; গতবারও এই একই নীতিতে সার্ক দেশগুলোর নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
ভারতের গণমাধ্যমগুলো তাদের খবরে বলছে যে, এবার পাকিস্তানকে বাদ দিতেই সার্কের বদলে বিমসটেককে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।
এদিকে গত রবিবার টেলিফোনে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হওয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
সেইসঙ্গে তিনি শান্তি আলোচনায় বসতে নরেন্দ্র মোদিকে আহ্বানও জানিয়েছেন বলে এএফপির খবরে উল্লেখ করা হয়।
কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ১৪ ফেব্রুয়ারি হামলার ঘটনার পর এই প্রথম টেলিফোনে কথা বললেন দেশদুটির প্রধানমন্ত্রী।
ইতিপূর্বে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ট আসন নিয়ে জয়ী হওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ইমরান খান বলেন যে, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চান ভারতের দ্বিতীয়বার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে।
এই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, নিজেদের বিশ্বাস বাড়াতে হবে এবং সেইসঙ্গে হিংস্রতা মুক্ত পরিবেশও তৈরি করতে হবে।