দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৫ বছরের শিশুও রেহাই পায়নি ইসরাইলী সেনাদের হাত থেকে। ওয়াদি মাওয়াদেহ নামে ফিলিস্তিনের ৫ বছর বয়সী শিশুকে টেনেহিঁচড়ে ধরে নিয়ে যায় ইসরাইলের সেনারা। তার অপরাধ সে ইসরাইলের সেনাদের লক্ষ্য করে একটি পাথর ছুড়ে মেরেছিল।
অনলাইন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ইসরাইলী সেনারা কেবল টেনেহিঁচড়ে নিয়ে ক্ষান্ত হয়নি- এরপর শিশুটিকে চোখ বেঁধে তার বাবাকেও হাতকড়া পরিয়ে মানুষের সামনে দিয়ে পুলিশের চেক পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইসরাইলের মানবাধিকার সংগঠন বি’ট সেলেম বলেছে, ৭ সেনা এবং একজন সেনাকর্মকর্তা মিলে ওয়াদিকে আটক করে হেবরনে দুই ঘণ্টা রেখেছিল। এরপর তাকে ফিলিস্তিনের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বি’ট সেলেম জানিয়েছে, ওয়াদি’র মা সন্তানকে সেনাসদস্যদের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। আধ ঘণ্টা পর ওয়াদি’র বাবা ফিরে আসার পর দুজনকেই ইসরাইলের সেনাদের ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। একপর্যায়ে ইসরাইলের এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসার পর ওয়াদি’র বাবা তাকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি ওয়াদিকে পাথর ছোড়ার কারণ জিজ্ঞেস করেন এবং জনসম্মুখে এভাবে পিতাপুত্রকে ধরে আনার জন্য এক পর্যায়ে সেনাসদস্যদেরকে তিরস্কার করেন। তিনি বলেন, এতে সেনাবাহিনীর ভাবমর্ূর্তি নষ্ট হয়। এরপর ওয়াদি’র বাবার চোখের বাঁধন খুলে দিয়ে তাকে খাবার পানি দেয়া হয়। সেনারা পরে পিতাপুত্রকে ফিলিস্তিনের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়। এদিকে এ ঘটনার পর বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।