দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে খুব কম সময়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়ে যাওয়া গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেল এক মন্তব্যের জেরে নিজের ইমেজকেই যেনো নষ্ট করে ফেললেন।
অনেক কিছু নিয়েই সমালোচনা করা যেতে পারে কিন্তু তাই বলে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে এভাবে সমালোচনা! যে ব্যক্তি বলা যায় রাতারাতি মানুষের একজন জনপ্রিয় গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন সেই ব্যক্তি এমন একটি মন্তব্য করে সবার কাছেই যেনো ছোট হয়ে গেছেন। কোলকাতার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘সা রে গা মা পা’র সেকেন্ড রানার আপ নোবেল ফলাফল ঘোষণার আগে থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তার চ্যাম্পিয়ন না হওয়া নিয়ে জনমত পক্ষে এবং বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে তার দেওয়া সাক্ষাৎকার নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
নোবেল এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, ‘‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘সোনার বাংলা’ গানটির চেয়ে প্রিন্স মাহমুদের লেখা গান ‘বাংলাদেশ’ আমার দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য অনেক স্পষ্ট ভাবেই তুলে ধরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এই গানটিকে জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। আমিও সেটি মানি।’’
যদিও মতামত ‘একান্ত ব্যক্তিগত’ বলেই কথাগুলি বলেছিলেন নোবেল। তবে তা বৃহত্তর বাঙালি সমাজের কাছে ভালোভাবে গৃহীত হয়নি। একটি সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে নোবেলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, ‘‘আমি এই ব্যাপারে কথা বলতে চাই না,’’ বলেই ফোন কেটে দিয়েছেন তিনি।
গায়ক রূপম ইসলামের কাছে এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমার মতে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতে যা রয়েছে, ঠিক আছে। যে গানটি নিয়ে এতো কথা হচ্ছে, তা উচ্চশ্রেণির সঙ্গীত বলেও মনে করি না। জাতীয় সঙ্গীত হওয়া তো দূরের কথা।’’
এবারেই প্রথম নয়। নোবেলের সঙ্গে বিতর্ক সমার্থক হয়ে গিয়েছে। পর্দার বাইরে তার আচরণ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তার ঘনিষ্ঠদের মতে, নোবেল মানুষ হয়তো ভালো। তবে তার আচরণগত সমস্যার কারণে তাকে নিয়ে বিতর্ক বার বার দানা বাঁধে। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা নোবেলকে নিয়ে লিখেছে। যে ব্যক্তি এতো অল্প সময়ে সারেগামাপার বদৌলতে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন সেই ব্যক্তি আমাদের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে এমন একটি মন্তব্য করে সকলের কাছেই ছোট হয়ে গেছেন। এমন কথা তার কাছে কেওই আশা করেনি। বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্ম নোবেলের কণ্ঠে যেখানে মাতোয়ারা, সেখানে বাছ-বিচার না করে এমন একটি মন্তব্য করা মোটেও ঠিক হয়নি বলেই মনে করছেন নোবেলের ভক্তরা।