দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাশ্মীরকে বলা হয় যেনো ভূস্বর্গ। অথচ সেই ভূস্বর্গে আজ চলছে এক নরক যন্ত্রণা! এও কী কারও সহ্য হয়? এও কী সহ্য করার মতো?
ঘরে কোনো খাবার নেই। বাইরেও চলছে কারফিউ। সেনা টহল এড়িয়ে বাজারে গিয়েও কারও নিস্তার নেই। যে কারণে সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে নিত্যপণ্যের দাম। প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ভারত শাসিত কাশ্মীরের। এমন এক দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। তাই ভূস্বর্গে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফেরাতে, উচ্চ আদালতে রিট করেছেন একজন কংগ্রেস কর্মী। জাতিসংঘ রেজুলেশন মানার আহবান জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদও।
কাশ্মীর যেনো এখন এক বিচ্ছিন্ন জনপদের নাম। কারফিউ, সেনা টহলে একরকম অবরুদ্ধ সেখানকার জীবনযাত্রা। বন্ধ রয়েছে খাবার সরবরাহ। খাবার স্বল্পতা এবং এটিএম কাজ না করায় নিত্যপন্যের দামও বেড়েছে কয়েকগুণ বেশি।
একজন শ্রমিক জানিয়েছেন, কদিন ধরেই এখানে কোনো রকম কাজ নেই। ৪ দিন ধরে রেশনও পাচ্ছেন না। এরমধ্যে স্থানীয়রা এসে বেধড়ক পিটানোর পর বলেছে এখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলেছে, ১৪৪ ধারা ভেঙে বিক্ষোভকালে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেছে অনেকে কাশ্মীরের। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।
এক কাশ্মীরী বলেছেন, ‘৭০ ঘন্টা ধরে একরকম অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছি আমরা। কারও সঙ্গে আমরা যোগাযোগও করতে পারছি না। নির্দোষ হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে মোদি সরকার যে অমানবিক আচরণ করছে; তা কোনো সভ্য সমাজে হতে পারে না।’
আরেকজন বলেছেন, ‘কারফিউ জারি করে আমাদের জীবনযাত্রা অতিষ্ঠ করে তুলেছে বর্তমান মোদি সরকার। রোগীদের হাসপাতালেও নেওয়া যাচ্ছে না।’
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের কাশ্মীর কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ ফখর ইমাম বলেছেন, ‘কাশ্মীরের জনমিতি পরিবর্তনের অপচেষ্টা ঠেকাতে ভারতের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যেনো আহ্বান জানায়, সেই আবেদনই করছি। সেইসঙ্গে জাতিসংঘ রেজুলেশন মেনে পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হোক।’
এদিকে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তান দুপক্ষকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে মালয়েশিয়া। দমন-পীড়নের নিন্দা করেছে তুরস্ক। কাশ্মীরের জনজীবন দ্রুত স্বাভাবিক করার অনুরোধ জানিয়েছেন এক ব্রিটিশ এমপি।
যুক্তরাজ্য লেবার পার্টির এমপি লিয়াম বার্ন বলেছেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর কাশ্মীরে এখন যা চলছে, বিশ্ববাসী যাতে তা জানতে না পারে, সেজন্যই কারফিউ দিয়ে টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। মোদি সরকারের প্রতি আহবান জানায়, এ সব বন্ধ করুন।