দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছবি তোলা এখন যেনো খুব সহজ হয়ে গেছে। কারণ ছবি তুলতে এখন আর ক্যামেরা নিয়ে ঘুরতে হয় না। মোবাইলেই অনেক ভালো ছবি তোলা যায়। তবে এই ছবি তুলতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই ঘটে বিপত্তি। আজও তেমন একটি কাহিনী।
আগে ছবি তোলা অনেক কঠিক কাজ ছিলো। কিন্তু ছবি তোলা এখন যেনো খুব সহজ হয়ে গেছে। কারণ ছবি তুলতে এখন আর ক্যামেরা নিয়ে ঘুরতে হয় না। মোবাইলেই অনেক ভালো ছবি তোলা যায়। তবে এই ছবি তুলতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই ঘটে যায় বিপত্তি। আজও রয়েছে তেমন একটি কাহিনী যা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে। আসুন জেনে নিই সেই বিদঘুটে কাহিনীটি।
ওই বাঘটি এমনভাবে পড়ে ছিলো যা দেখে ভাবলেন বাঘটি মরে পড়ে আছে। তাই পাশে গিয়ে ছবি তুলতে গেলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু বিধি বাম- তার পরেই ঘটে গেলো বিপত্তি। সম্প্রতি ভারতের আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা এলাকার এক স্থানীয় ব্যক্তি ছবি তুলতে গেলে তার ওপর আচমকাই ঝাঁপিয়ে পড়ে আহত চিতাবাঘটি।
স্থানীয় একটি সূত্র বলেছে, গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বাঘটিকে মৃত ভেবেছিলেন আক্রান্ত ওই ব্যক্তি। তিনি সামনে থেকে চিতাবাঘকে দেখে ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারেননি। আর তখনই ঘটে এমন এক বিপত্তি।
জানা যায়, ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে ডালগাঁও চা এস্টেটের একটি গাড়িতে ধাক্কা খায় ওই চিতাবাঘটি। তারপরেই গুরুতর আহত অবস্থায় পথের মাঝে পড়েছিল সে। জানা যায় যে, বাঘটি নাকি পাশের ডালগাঁও বন হতে বেরিয়ে এশিয়ান হাইওয়ে পার হচ্ছিল।
তারপর স্থানীয় মানুষ জড়ো হয়ে দেখতে থাকেন বাঘটিকে। এই সময় মৃত ভেবে অনেকেই ছবি তুলতে শুরু করেন। আর যায় কোথায় তখনই আহত বাঘ বিরক্ত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের ওপর।
এই সম্পর্কে বিট অফিসার প্রীতম রায় জানিয়েছেন, “জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ চিতাবাঘকে উদ্ধার করে এবং তার চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। বাঘটি সুস্থ হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ তাকে আবারও জঙ্গলে ছেড়ে দেবে।”
উল্লেখ্য, চিতাবাঘের ডান পা এবং মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। তবে ছবি তুলতে আসা লোকটির আঘাতও কম গুরুতর নয়। তবে প্রাণে বেঁচে গেছেন ওই ব্যক্তি।