দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাইভেট গাড়িতে চড়তে সকলেরই ভালো লাগে আর তা যদি হয় নিজের গাড়ি তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। মানুষের জীবনের এই গাড়ির শখ পূরণ করা কিছুটা ব্যয়বহুল হয়ে থাকে।
নতুন গাড়ি কেনা ব্যয়বহুল হওয়ার ফলশ্রুতিতে অনেকেই পুরনো গাড়ির মাধ্যমে নিজের এই শখ বা চাহিদাকে পূরণ করার চেষ্টা করেন। প্রায় অনেকেই তাদের সাধ্যের মধ্যে পুরোনো গাড়ি কিনে গাড়ির প্রতি তাদের চাহিদা ব্যক্ত করেণ। পুরনো গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে অনেক কিছুই লক্ষ্য রাখতে হয় কারন গাড়ির ভেতরে থাকতে পারে নানা ধরনের জটিলতা যা পরবর্তীতে বৃদ্ধি করতে পারে অতিরিক্ত খরচ যা খুবই ব্যয়বহুল হতে পারে।
আপনার অতি শখের পুরনো গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে আপনার পুরনো গাড়িটির ফিটনেস ঠিক আছে কিনা গড়িটির অভ্যন্তরীণ সকল যন্ত্রাংশ যাতে ভালো ও সঠিক অবস্থায় থাকে তার সঠিক মাত্রায় যাচাই-বাছাই করার দায়িত্ব আপনার। পুরনো গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করতে হবে তাই নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।
সঠিক ধারনাঃ
এখানে ধারণা বলতে আপনি যে গাড়িটি কিনতে যাচ্ছেন ঐ গাড়ি সম্পর্কে আগেভাগে থেকে কিছু তথ্য জেনে রাখা ভালো। গাড়ির সঠিক মডেল অথবা গাড়িটির আপডেট কি কি ফিচার বাজারে আছে। কোন কোন কারণে গাড়িটি মানুষ গাড়িটিকে পছন্দ করে বা অপছন্দ করে সকল বিষয় আগে থেকে যাচাই-বাছাই করে রাখা গাড়ি কেনার জন্য খুবি উত্তম। আপনার গাড়িটি সকল পার্টস যাতে দেশের বাজারে সক্রিয় থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে গাড়ি কিনতে হবে।
গাড়ির ফিটনেসঃ
গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে সবথেকে লক্ষণীয় বিষয় হল আপবার পছন্দের গাড়িটির ফিটনেস ঠিক আছে কিনা তা সঠিক রুপে যাচাই করা। গাড়ির ফিটনেস পরিক্ষা সঠিক গাড়ি বাছাই করার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফিটনেস পরিক্ষার ক্ষেত্রে চাইলে গাড়ির মালিক হতে ফিটনেস সার্টিফিকেট সংগ্রহ করুন। গাড়িটির ট্র্যাঙ্ক ঠিক আছে কিনা, গাড়ির রঙ্গে কোন প্রকার সমস্যা রয়েছে কিনা, গাড়িটির মাঝে কোনরকম ছিদ্র বা মরিচা পড়েছে কিনা সেদিকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তদারকি করুন।
ফ্রেমের ড্যামেজঃ
গাড়ির ফ্রেমে ড্যামেজ পরলে তা গাড়ির উপর খুবি প্রভাব ফেলে ফ্রেমে ড্যামেজ পড়া গাড়ি খুবি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে। পুরনো গাড়ি কেনার সময় অবশ্যই ফ্রেমে ড্যামেজ পড়া গাড়ি পরিত্যাগ করতে হবে। গাড়িতে কোন ধরণের ছিদ্র আছে কিনা তা ভালো করে যাচাই করে গাড়ি কিনুন। গাড়ি চালিয়ে দেখুন যে গাড়িতে সাদা বাম্প বের হয় কিনা কারণ শিতকাল ব্যাতিত এই বাস্প বের হউয়া গাড়ির জন্য ভালো কোন লক্ষণ নয়।
টায়ার পরীক্ষাঃ
গাড়ির প্রত্যেকটি টায়ার ভালভাবে লক্ষ্য করুন যাতে করে প্রত্যেকটি টায়ারের সামঞ্জস্যতা একই রকম থাকে। টায়ার পরিবর্তন করা না হলে প্রত্যেকটি টায়ার সমানভাবে ও সম পরিমাণে ক্ষয় হবে। এছাড়া গাড়িতে ব্যাড এলাইনমেন্ট বা কোন রকম ড্যামেজ আছে কিনা তাও লক্ষ্য করুন। গাড়ির টায়ার পরীক্ষা গাড়ি বাছাই করার ক্ষেত্রে খুবই দরকারী কারন গাড়ির চাকায় যদি কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে গাড়ি চলমান পথে অতীব ভোগান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
অন্যান্য সমস্যাঃ
পুরনো গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে গাড়ির হুডের নিচে ভালভাবে খেয়াল করুন। গাড়ির হুডের নিচে আমাদের ভালো করে লক্ষ্য করতে হবে যে সেখানে কোন কিছু ভাঙ্গা আছে কিনা, কোন প্রকার ফাটা অথবা জং ধরেছে কিনা ইত্যাদি। পাশাপাশ গাড়ির পাইপ ও বেল্ট সমূহ ভালভাবে চেক করে নিন। আপনার গাড়ির রক্ষার্থে ব্যবহৃত হেডলাইট, মিরর, উয়াইপার ইত্যাদি ঠিক আছে কিনা তা ভালকরে পর্যবেক্ষণ করুন।
এছাড়া গাড়ির পারকিং ক্যামেরা ঠিক কিনা চেক করে নিতে পারেন। আর পুরনো গাড়ি কেনার সময় পরিচিত কোন মেকার বা এক্সপার্ট সাথে করে নিয়ে যেতে পারলে তা অতীব উত্তম।