দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পড়াশোনা কর্মজীবন ও সকল ব্যস্ততার মাঝে একটানা অনেকদিন একই রকম চলমান জীবন পার করতে করতে আমরা সকলেই ক্লান্ত হয়ে পড়ি। তাই প্রয়োজন পড়ে ভ্রমণের। তবে এই ভ্রমণের আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো সম্পর্কে আজ জেনে নিন।
পড়াশোনা কর্মজীবন ও সকল ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় আমাদের স্বভাব-চরিত্রে দেখা দেয় একঘেয়েমি। যার ফলে অনেকেই আমরা অল্পতেই রেগে যাচ্ছি অথবা কোন কিছুতেই নিজেদের মনোভাব জানো অগোছালো আকার ধারণ করছে। ঠিক এরকম সময় অবসাদ দূর করার জন্য এবং শরীরকে চাঙ্গা করার জন্য আমার সকলে ঘোরাফেরার পরিকল্পনা করে থাকি। সামান্য ঘোরাফেরা কিছুদিন যাবত একটু অন্যান্য পরিবেশে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার মাঝেই যেন পাওয়া যায় চরম শান্তি ও আরাম। এই সকল ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে মানসিক ভাবেও মেলে নিস্তার। শরীরকে চাঙ্গা করার জন্য ভ্রমণের কথা অথবা পরিবেশ পরিবর্তনের কথা অনেক ডাক্তার বলে থাকেন তার রোগীদেরকেও। তাই আমাদেরকে মানসিকভাবে চাঙ্গা হতে এবং প্রিয়জনদের সাথে একটু ভালো সময় কাটাতে ভ্রমণের বিকল্প একদমই নেই।
ভ্রমণ শুধুমাত্র আমাদের মনকে চাঙ্গা করে তাই নয়, ভ্রমণ আমাদের মনের পাশাপাশি শরীরকেও অবসাদ ও বিশ্রাম দিয়ে থাকে। কিন্তু ভ্রমণ তার আরামের পাশাপাশি অনেক সময় ঝামেলার কারণ হয়েও দাঁড়াতে পারে যদি তা সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে পরিচালনা করা হয়। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে আমাদের ভ্রমণ হতে পারে হাজারটা ঝামেলার কারণ দেখা দিতে পারে। নানাবিধ সমস্যা ও ঘটতে পারে জার ফলে আমাদের সাথে ঘটে জেতে পারে অসংখ্য দীপাক। শান্তিময় ও আনন্দের সময় কাটানোর জন্য প্রথমে আমাদের সঠিক পরিকল্পনা দরকার যা আমাদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে একমাত্র সঠিক রাস্তা, পরিকল্পনা করে আগানোর মধ্যমে একটা ভালো সময় পার করা সম্ভব। পরিকল্পনা করা মানে যে সকল কিছু পরিকল্পনা মোতাবেক চোল্বে এমনটা ভেবে নিলে হবে না। আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে পরিকল্পনার পাশাপাশি যদি পরিকল্পিত কাজ ব্যতীত অন্য কিছু সংগঠিত হয় তাহলে তার মোকাবেলা করা মনোভাব যাতে প্রকাশিত করা সম্ভব হয় আমাদের দ্বারা।
ভ্রমণের ক্ষেত্রে করণীয় কাজের মধ্যে অন্যতম পরিকল্পনা ব্যতিত কোন কিছু ঘটার প্রস্তুতি নেয়া। আমরা ভ্রমণের ক্ষেত্রে সকল কিছু পরিকল্পনা করে যাই কিন্তু তা সঠিক হবে অথবা পরিকল্পনা অনুযায়ী সকল কাজ সংঘটিত হবে তা বলা অথবা তা বিশ্বাস করা এক কথা বোকামি। এমন হাজারো অবস্থা ও পরিস্থিতির শিকার হতে পারেন যা আপনার পরিকল্পনা থেকে অনেকদূর অথবা আপনি কোন চিন্তাই করেননি। ঠিক এই সকল পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার মত মন মানসিকতা নিয়ে ভ্রমণে বের হতে হবে। হঠাৎ করে আপনার পরিকল্পনা মোতাবেক যাতায়াত ব্যবস্থা হলো না থাকা, জায়গা আপনার পরিকল্পনা মোতাবেক হলোনা ঠিক এরকম নানাবিধ কর্মকাণ্ডে ঘটে যাওয়া সকল ঝামেলা পোহানোর মত মানসিকতা নিয়ে আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আমরা ভ্রমণের জন্য যে স্থানে যাচ্ছি সেসব জায়গা সম্পর্কে আমাদের পূর্ব ধারণা রাখতে হবে যেমন ওই জায়গার অবস্থা আবহাওয়া ঘাটাঘাটি করা বইপত্র নিয়ে ও জায়গা সম্পর্কে জানা অথবা ওই জায়গা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান লাভ করা যায় ফলে পরিবেশের সাথে নিজেকে খুব সহজেই মানিয়ে নেয়া সম্ভব হয়। আমাদের ভ্রমণ করার স্থানটির সঠিক আবহাওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা রাস্তাঘাট এবং এর হোটেল-রেস্তোরাঁ ইত্যাদি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে যাতে আমাদের সাথে যাওয়া ভ্রমণ করার সকল খুব সহজে ভ্রমণের আনন্দ উপভোগ করতে পারে। এর পাশাপাশি আমরা যে যে স্থান ভ্রমণ করতে চাই তার ইতিহাস সম্পর্কে জানান ওই স্থানে কোথায় কি গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রয়েছে সেসব জায়গা থেকে আগে থেকে ধারণা করে রাখলে ভ্রমণে সুবিধা হয়।
ভ্রমণ হচ্ছে শান্তি ফিরে পাওয়ার জন্য একটু ভালো সময় কাটানোর মাধ্যম। এ সময় আপনার পোশাক পরিচ্ছেদ মোবাইল ফোন বাহ্যিক চিন্তাধারার দিকে খেয়াল না রাখাই ভালো। ভ্রমণ সময় শুধু ভ্রমনের দিকে মূল ফোকাস রাখা উচিত কারণ আপনি সকালে এক পোশাক বিকেলে আরেক পোশাক করতে গিয়ে ভ্রমণের সঠিক আনন্দই খুঁজে পাবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনার হাতের ব্যাগ ও লাগেজটি হতে হবে হালকা যা আপনার ভ্রমণকে বোঝায় পরিণত করবে না। ভ্রমণের সময় পরিমাণমতো দরকারের জিনিসপত্রগুলো নেবার চেষ্টা করুন অতিরিক্ত জিনিসপত্র না নেওয়াই শ্রেয়। ভ্রমন ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় অনেক কাজের মধ্যে একটি কাজ যা না করলে নানা তা হচ্ছে ভ্রমণের সময় সঠিক সময় রওনা দেওয়া। আপনি ট্রেন-বাস প্লেন যে যানবাহন দিয়ে যান না কেন তার সঠিক সময়ে আপনাকে প্লাটফর্মে পৌছে জেতে হবে। যদি যাত্রা শুভ হয় তাহলে সকল ক্ষেত্রেই সুফল পাওয়া যায়। যদি যাত্রার ক্ষেত্রে আপনি দেরি করে ফেলেন তাহলে আপনার ট্রেন-বাস খুঁজে বের করতে করতে এমন হতে পারে আপনার বাসটি অথবা ট্রেনটি আপনাকে রেখে চলে গেল। তাই ভ্রমনের মজা নিতে ও ভ্রমণের সঠিক লাভ ও আনন্দ উপভোগ করুন যা একমাত্র সঠিক পরিকল্পনা ও সঠিকরূপে তা বাস্তবায়ন দ্বারাই সম্ভব।