দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই এই সভ্য সমাজেও এমন গ্রাম থাকতে পারে নাকি? এই সভ্য সমাজেও কি কেও পোষাক ছাড়া থাকে? তবে আজব মনে হলেও এমন এক গ্রাম যে গ্রামে পোশাক পরা নিষেধ! এই গ্রামটিতে ইচ্ছে করলে আপনিও বসবাস করতে পারবেন। খুব কম দামেই কিনতে পারবেন এই গ্রামের জমি। তবে ওই একটা শর্ত আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। আর তা হলো উদম থাকতে হবে সব সময়!
সত্যিই এই সভ্য সমাজেও এমন গ্রাম থাকতে পারে নাকি? এই সভ্য সমাজেও কি কেও পোষাক ছাড়া থাকে? তবে আজব মনে হলেও এমন এক গ্রাম যে গ্রামে পোশাক পরা নিষেধ! এই গ্রামটিতে ইচ্ছে করলে আপনিও বসবাস করতে পারবেন। খুব কম দামেই কিনতে পারবেন এই গ্রামের জমি। তবে ওই একটা শর্ত
আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। আর তা হলো উদম থাকতে হবে সব সময়!
চোখে রয়েছে দামি সানগ্লাস, গলায় সোনার চেইন, আঙুলে রয়েছে আংটি, বড় পানশালা, শিশুদের জন্য বিনোদন কেন্দ্রর রয়েছে, পার্ক; আধুনিক এমন সব সুবিধা থাকলেও গ্রামের লোকজনের পোশাক পরিধান করা একেবারেই নিষেধ। ব্রিটেনে রয়েছে এমনই এক গ্রাম! ব্রিটেনের হার্টফোর্ডশায়ারে অবস্থিত এই গ্রামের নাম হলো স্পিলপ্লাজ।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো স্পিলপ্লাজ গ্রামের বাসিন্দারা এজন্য নিজেদের গর্বিত মনে করেন। এ গ্রামটিকে ব্রিটেনের সবচেয়ে পুরনো নগ্নতাবাদী অঞ্চল বলেও তারা দাবি করেন। বাসিন্দাদের এই নগ্নতাবাদকে সমর্থন না করলে, এখানে এক চিলতে জমি জায়গাও কেনা যাবে না। তবে স্পিলপ্লাজের বাসিন্দাদের নগ্নতাবাদকে মেনে নিতে পারলে সেখানে পানির দরে জমি পেয়ে যেতে পারেন আপনি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ১৯২৯ সালে লন্ডন ছেড়ে চার্লস ম্যাকস্কি ও তার স্ত্রী ডোরথি এই গ্রামটিতে বসতি স্থাপন করেন। এ অঞ্চলে জমি কিনে প্রথমে তাবু তৈরি করে বসবাস শুরু করেন তারা দুজনে। তারাই এলাকাটির নাম দেন ‘স্পিলপ্লাজ’ বা খেলার জায়গা। ম্যাকস্কি ও ডোরথির পরিচিতরা সপ্তাহান্তে তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। এভাবে ধীরে ধীরে ম্যাকস্কি ও ডোরথির অতিথিদের কেও কেও এখানে বসবাস শুরু করে দেন। ১২ একর জমিতে গড়ে ওঠা এই স্পিলপ্লাজ গ্রামে বর্তমানে ৫৫টি বাড়ি রয়েছে।
অবশ্য গ্রামে পোশাক পরিধান না করলেও গ্রামের বাইরে গেলে তারা জামাকাপড় পরেই যান।