দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষ লেখা-পড়া করেও হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ান একটি চাকরির জন্য। কিন্তু অবলা পশু বিড়ালের চাকরি দেওয়া হলো বার অ্যাসোসিয়েশনে! এমন ঘটনাটি কী আপনি এর আগে কখনও শুনেছেন?
মানুষ লেখা-পড়া করেও হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ান একটি চাকরির জন্য। কিন্তু অবলা পশু বিড়ালের চাকরি দেওয়া হলো বার অ্যাসোসিয়েশনে! এমন ঘটনাটি কী আপনি এর আগে কখনও শুনেছেন?
কখনও যদি এমন ঘটনার উদ্বব ঘটে তাহলে আপনি নিজেও বিস্মিত হবেন। যেমন ধরুন আপনি কোনো এক অফিসে গিয়েছেন আর তখন সেখানে আপনাকে স্বাগত জানাতে গলায় আইডি কার্ড ঝুলিয়ে বসে রয়েছে কালোমুখো একটি বিড়াল, কেমন লাগবে বিষয়টি আপনার কাছে? অবাক লাগতে পারে! সেটিই স্বাভাবিক। তবে অবাস্তব মনে হলেও চোখ কপালে তোলার কিছুই নেই। কারণ হলো এই ঘটনাটি আসলেও সত্যি!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাজিলে। ব্রাজিলের বার অ্যাসোসিয়েশনে (অর্ডার অব অ্যাটোর্নি অব ব্রাজিল) চাকরি করছে এমন একটি বিড়ালের খোঁজ পাওয়া গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক খবরে জানা যায়, ঘটনার শুরু হয়েছিলো গত ফেব্রুয়ারি মাসে। একদিন ঝড়ের মধ্যে আশ্রয় খুঁজতে গিয়ে ব্রাজিলের আমপা প্রদেশের বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে এসে হাজির হয় ছোট্ট একটি বিড়াল। তার দুর্দশা দেখে মায়া পড়ে যায় ভবনের কর্মীদের। সযত্নে আশ্রয় দেওয়া হয় অসহায় ছোট্ট ওই বিড়ালটিকে!
তারপর বিড়ালটির দিনকাল বেশ ভালোই যাচ্ছিল। ঝামেলা বাঁধে সপ্তাহখানেক পরই। কয়েকজন কর্মী অভিযোগ করেন যে, বার অ্যাসোসিয়েশনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভবনে বিড়াল আশ্রয় দেওয়া মোটেও ঠিক হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা সমালোচনা। একসময় সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিজেই। বিড়ালটিকে কেও যাতে করে আর আশ্রিত না বলতে পারে, সেজন্যই তাকে ভবনের কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন বারের সভাপতি। আদর করে ওই বিড়ালটির নাম রাখা হয় ড. লিওন।
এখন ভবনটিতে গেলেই দেখা যায়, গলায় আইডি কার্ড ঝুলিয়ে দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাতে বসে রয়েছে ড. লিওন নামে ওই বিড়ালটি!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরও জানা যায়, শুধু চাকরি পেয়েছে তা নয়, বিড়ালটির রয়েছে নিজস্ব ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট! সেখানে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ৬৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।