দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ থাইল্যান্ডের ‘নরকের খাদ’ নামে পরিচিত একটি জলপ্রপাতে পড়ে ৬টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, একটি শাবককে বাঁচাতে গিয়ে একে একে ৬টি হাতি প্রাণ দিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে জানা যায়, থাইল্যান্ডের ‘নরকের খাদ’ নামে পরিচিত একটি জলপ্রপাতে পড়ে ৬টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, একটি শাবককে বাঁচাতে গিয়ে একে একে ৬টি নিরীহ হাতি প্রাণ দিয়েছে।
যদিও শেষ পর্যন্ত আহত অবস্থায় দুটি হাতিকে উদ্ধার করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মধ্য থাইল্যান্ডের খাও ইয়াই ন্যাশনাল পার্কে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে।
পার্কের কর্মকর্তারা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, হাতির দলে থাকা তিন বছরের একটি শাবক পা পিছলে এই জলপ্রপাতে পড়ে গিয়েছিলো। তারপর সেটিকে বাঁচাতে গিয়ে অপর আরও ৫টি হাতির মৃত্যু ঘটেছে। অপর আরও দুটি হাতিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে জানা যায়, এই খরস্রোতা জলপ্রপাতটি থাইলান্ডে ‘হেউ নরক’ (নরক খাদ) নামে কুখ্যাত। এর আগেও এখানে এই ধরনের ঘটনা বহুবার ঘটেছে। ১৯৯২ সালে এভাবে পড়ে গিয়ে ৮টি হাতির একটি দলের মৃত্যু ঘটে। তখন থেকেই এই জলপ্রপাতটি সবার নজরে উঠে আসে।
থাইল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্ক, ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড প্লান্ট কনজারভেশন বিভাগ এই বিষয়ে জানিয়েছে, গত শনিবার স্থানীয় সময় ৩টায় এক দল হাতি ওই নরক খাদ ঘেঁষা রাস্তা আটকে রাখার কারণে কর্মকর্তাদের দৃষ্টি যায় সে দিকেই। পরে পার্ক কর্মীদের ৩ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত জলপ্রপাতের নিচে শাবকটির একটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। এরই আশপাশে পাওয়া যায় আরও ৫টি হাতির মৃতদেহ। আহত অবস্থায় পাওয়া যায় আরও ২টি হাতিকে।
থাইল্যান্ডের ওয়াইল্ডলাইফ ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এডউইন উইক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আহত হাতি দুটির বেঁচে থাকাটা বেশ কঠিন হবে। হাতিরা সাধারণত নিজেদের নিরাপত্তা এবং খাদ্যের সন্ধানে দল বেঁধে চলাফেরা করে থাকে। এর কারণে হয়তো এরকম ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
মনে করা হচ্ছে যে, থাইল্যান্ডে বর্তমানে ৭ হাজারের মতো হাতি রয়েছে। ১৯৯২ সালের পর একত্রে ৬ হাতির মৃত্যু ঘটনা থাইল্যান্ডে আর ঘটেনি। যে কারণে পুরো থাইল্যান্ড জুড়ে এই ৬ হাতির মৃত্যু ঘটনা শোকের আবহ তৈরি করেছে।