দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের চিকিৎসাবিজ্ঞানের শাস্ত্রে আবির্ভাব ঘটেছে নানা ধরনের ঔষধ নানা ধরনের বিস্ময়কর সকল চিকিৎসা। তার পাশাপাশি বেড়েছে রোগের মাত্রা ও নতুন রোগ সমূহ। এ সকল রোগের প্রতিকারের জন্য আপ্রাণ ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসাবিজ্ঞান।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা পাচ্ছি নানা ধরণের সকল জটিল রোগ নিরাময় করার সকল ঔষধ। যা দারা আমরা অল্প সময়ে আমাদের অসুস্থতা থেকে পরিত্রান পেয়ে থাকি। ওষুধের পাশাপাশি নানাবিধ পরামর্শ ও আলোচনা সাপেক্ষে বিভিন্ন নতুন ও পুরাতন রোগ সম্পর্কে সচেতন ও তার পাশাপাশি তার সাথে লড়াই করার ক্ষমতা ও যুগিয়ে যাচ্ছে অনেকেই। ঠিক একই ভাবে আজকে নতুন একটি রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে আলোচনা করতে যাচ্ছি আমরা। গাট ব্যাকটেরিয়া যা আমাদের অন্ত্রের বাক্টেরিয়া নামে পরিচিত। এটা অনেক ক্ষেত্রে আমাদের জন্য স্বাস্থ্যকর কিন্তু তার এই স্বাস্থ্য করতা সব সময় সমান থাকে না।
গাট ব্যাকটেরিয়া যা আমাদের সকলের শরীরে বিদ্যমান কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা যায় এই গাট ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে থাকা ফুসফুসকে খুবই ভয়াবহ ভাবে আক্রান্ত করতে পারে। গাট ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে থাকা শর্করাকে অ্যালকোহলে পরিণত করার ক্ষমতা রাখে যার ফলে গাঁট ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আমাদের ফুসফুস বাজেভাবে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে।
গাট ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবের ফলে আমাদের শরীরের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা যায় ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়া নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে আমাদের শরীরে অ্যালকোহল বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে যদি কেউ অ্যালকোহল পান না করেও থাকে তাও তার শরীরের অ্যালকোহলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। অ্যালকোহলের এর মাত্রা বেড়ে যাওয়া আমাদের শরীরের শারীরিক ঝুঁকির একটি ভয়াবহ কারণ হতে পারে। এ সমস্যার কারণে একজন মানুষের শরীরের ফুসফুসে ফ্যাট জমা শুরু হয় যা সাধারণত নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ নামে পরিচিত। এই সমস্যায় ফুসফুসের মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং ধীরে ধীরে ফুসফুস ফ্যাটে জর্জরিত হয়ে পড়ে। এর ভয়াবহতা এমন যে বর্তমানে সমগ্র বিশ্বের এর ভুক্তভুগী সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ। সম্প্রতি চলমান ২০১৯ সালের এক গবেষণা থেকে এই পরিসংখ্যান জানা যায়। এই সমস্যা থেকে দীর্ঘমেয়াদি ক্যান্সার বা ফুসফুসের ক্যান্সার তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকরা।
যদি আমাদের মধ্যে কারো ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ধরা পড়ে তাহলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এমতা অবস্থায় আতঙ্কিত না হয়ে গবেষকদের পরামর্শ নিয়ে তার সথিক পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। প্রথমদিকে এই সমস্যা ধরা পড়লে তা খুব দ্রুতই ঠিক করা যেতে পারে। প্রথমা অবস্থায় এ রোগ থেকে পরিত্রান পাওয়া খুব কঠিনসাধ্য ব্যাপার নয় তবে তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে এবং খুব দ্রুত সমস্যাকে চিহ্নিত করে তার সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। সচেতন ভাবে চলাফেরা ও জীবন ব্যবস্থা পরিচালনার মাধ্যমে আমার খুব সহজেই ফ্যাটি লিভার ডিজিজ নামক রোগ থেকে পরিত্রান পেতে পারি।
আবার গবেষকদের নানাবিধ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দেখা যায় শুধু অ্যালকোহল পান করলে যে আমাদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমনটি নয়। ফুসফুস কে সুস্থ রাখতে হলে এলকোহল থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি গাট ব্যাকটেরিয়ার ব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং জানতে হবে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে। চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং শর্করা গ্রহণের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব সোচ্চার হতে হবে। শর্করা গ্রহণ যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার পাশাপাশি অন্যান্য খাবারের প্রতি নিজেদের মনোনিবেশ রাখতে হবে যাতে করে আমাদের শারীরিক কোন প্রকার ঝুঁকি দেখা না দিতে পারে। গাট ব্যক্টেরিয়ার সম্পর্কে জানুন এবং এর ভয়াবহতা সম্পর্কে নিজেকে সচেতন রাখুন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শর্করা গ্রহণ করুন এবং সুস্থ থাকুন।