দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আধুনিকায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে একের পর এক বিস্ময় সৃষ্টি হয়ে চলেছে এবং তার পাশাপাশি সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে কর্মসংস্থানেরও। এআই সৃষ্টি করবে ২৩ লাখ চাকরীর সুযোগ!
যেখানে কর্মসংস্থানের অভাবে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে লাখ লাখ প্রত্যাশিত কর্মী সেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ইতিবাচক সম্ভাবনার কথা প্রকাশ করেছেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নানা ধরনের ইতিবাচক সম্ভাবনার কথা বিজ্ঞ জনেরা অনেকদিন ধরেই আলোচনা এবং আলোকপাত করে চলেছেন। নানাবিধ গবেষণায় ও বিশেষজ্ঞদের মতে জানা যায় আগামী বছর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের ফলে কর্মসংস্থানের অধিক হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং পাশাপাশি ইতিবাচক ধারা চলে এসেছে যার ফলে খুবই গুরুতর মাত্রায় অধিক কর্মসংস্থান সম্ভব হবে লাখো প্রত্যাশীদের।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে লক্ষণীয় হারে বলে দাবি করেন গার্টনার। অনেকেরই একটি ধারণা রয়েছে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে অধিক ও কর্মজীবী মানুষ তাদের কর্ম অথবা চাকরি হারাতে বসবেন বা হারাবেন। তাদের আশঙ্কা অমূলক নয় কিন্তু এর বিপরীতে গার্টনার উল্লেখ করেন যে এই প্রয়োগের যত বেশি মানুষ চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে ঠিক তার চেয়েও বেশি সংখ্যক মানুষের অল্প সময়ের মধ্যেই অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
এআই অ্যান্ড দ্য ফিউচার অফ ওয়ার্ক শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছিলেন ২০১৮ সালে যার প্রকাশনা এবং লেখা গার্টনার নিজেই। সেখানে আলোকপাত করা হয় ২০২০ সালের মধ্যে ১৮ লাখ কর্মযজ্ঞ মানুষের চাকরি এবং কর্মসংস্থান হারাবে। তবে ঠিক একই সময় ২৩ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে যা তুলনামূলকভাবে অধিক হারে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির একটি প্রয়াস। এই প্রয়াসে সকল চাকরি বঞ্চিত হবে বা হারাবে তা বিভিন্ন খাতে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে হবে এবং পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে চাকরি চাহিদা অধিকার বৃদ্ধি পাবে ২০১৯ সালে।
২০১৯ সালের চাকরির চাহিদা বৃদ্ধি হবে পাবলিক খাতে। তবে জানা যায় ম্যানুফেকচারিং উৎপাদন খাতে চাকরি হারানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। নানাবিধ গবেষকদের মতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে মানুষের মধ্যে আবেগ ও ভীতি দুই রয়েছে। কারণ সাধারণ মানুষের ধারণা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা অনেক বড় প্রতিষ্ঠান এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে। গবেষকদের মতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পৃথিবীর বিভিন্ন বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের গতিপথ ও তাদের শিল্পের গতিপথ বৃদ্ধি করতে পেরেছে।
অনেকের মতবাদ অনুযায়ী আমাদের বর্তমান যুগ যদি পরবর্তী শিল্প বিপ্লবের জনক হিসেবে আখ্যায়িত হয় তাহলে অবশ্যই এই যুগের একটি বিশাল চালকশক্তি হিসেবে কাজ করে চলেছে এআই। সম্প্রতি কয়েক বছর ধরেই স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষা খাত থেকে ফ্যাশন, ট্যুরিজম এর পাশাপাশি নানা সকল ক্ষেত্রেও এআই পদক্ষেপ নিয়েছে এবং রূপান্তর ঘটাতে ভূমিকা পালন করেছে পদে পদে। এছাড়া বিশেষজ্ঞদের মতে উৎপাদন খাতে এই এক বিশেষ ভূমিকা পালন করবে যার ফলে খুব দ্রুত হারে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে সকল ক্ষেত্রে।