দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। স্বল্প খরচে ঘোরাঘুরি’র জন্য ভারতকে বেছে নেন অনেকেই। উপমহাদেশের ইতিহাসের বড় একটা অংশ পরে আছে ভারতে। তাজমহল, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি সহ অনেক জায়গাতেই নিয়মিত দর্শনার্থী’র ভীড় লেগে থাকে সারা বছরই। তবে, এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে ভারতের সেরা দশটি জাদুঘরের একটি তালিকা। ভারত ভ্রমণের পাশাপাশি এসব জাদুঘরও কম আকর্ষণীয় নয়।
সাবমেরিন জাদুঘরঃ
১৯৭০ সালে প্রস্তুতকৃত এ সাবমেরিনটি ভারতের নিজস্ব তৈরি। ৩০ বছর ধরে সাগরে ৭৩, ৫০০ নটিক্যাল মাইল পার করে আসার পর ২০০১ সালে এটিকে জাদুঘরে রুপদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ২৪শে আগস্ট ২০০২ সালে এটি জগণের প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
ন্যাশনাল গ্যালারী অব মডার্ণ আর্টঃ
এটি ভারতের লিডিং আর্ট গ্যালারী। দিল্লী’র জয়পুর হাউসে এই জাদুঘরের প্রধান বিল্ডিংটি ভারত সরকার কতৃক নির্মিত হয়েছিলো ১৯৫৪ সালের ২৯ মার্চ। মুম্বাই এবং ব্যাঙ্গালোরে এই জাদুঘরের শাখা রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নন্দলাল বোস, যামিনী রায়ের সহ এ জাদুঘরে ১৪, ০০০ বেশী চিত্রশিল্প সংগৃহীত রয়েছে। নিজস্ব ওয়েবসাইট।
মহাত্মা গান্ধী স্মৃতি জাদুঘরঃ
ভারতের স্বাধীনতার পথ-প্রদর্শক এবং মহান নেতা মহাত্মা গান্ধী’র জীবনের নানা সংগ্রহ নিয়ে গড়ে উঠেছে এই মিউজিয়াম। মুম্বাইয়ে ১৯৪৮ সালে গান্ধী যখন আততায়ী’র হাতে নিহত হন, তার কিছুদিন পরই মুম্বাইয়ে এ জাদুঘর গড়ে ওঠে। এরপর নানা জায়গা ঘুরে ১৯৬১ সাল থেকে দিল্লীতেই আছে এ জাদুঘরটি। এ জাদুঘরে আছে, গান্ধী’র নিজস্ব ব্যবহৃত জিনিস সামগ্রী, তার কিছু বই, সংবাদপত্র এবং আসবাব।
এই জাদুঘরের নিজস্ব ওয়েবসাইটিতে ভিজিট করতে হলে এখানে ক্লিক করুন।
বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং টেকনোলজী জাদুঘরঃ
কোলকাতায় ১৮৫ স্কয়ার মিটার জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে ভারতের প্রথম সায়েন্স মিউজিয়াম। ১৯৫৪ সালে বিড়লা গ্রুপের স্থপতি ঘনশ্যাম দাস বিড়লা এটি প্রথম জনগণের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করেন। এ জাদুঘরের বিস্তারিত নিয়ে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটও আছে।
জাতীয় জাদুঘরঃ
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ জাদুঘরটি ভারতের সবথেকে বড় জাদুঘর। ভারতবর্ষের প্রায় পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাস সংগৃহীত রয়েছে এ জাদুঘরে। প্রায় বিশ হাজার চিত্রশিল্পও আছ এখানে। উল্লেখ্য, ইংল্যাণ্ডের রয়েল একাডেমী কতৃক এ জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ওয়েবসাইট।
আনোখি হস্তশিল্প জাদুঘরঃ
ভারতের নিজস্ব হস্তশিল্প নিয়ে ১৯৮৯ সালে গড়ে উঠে এই জাদুঘরটি। ২০০০ সালে এটি ইউনেস্কোর ‘Cultural Conservation’ পুরস্কার জয়লাভ করে।
বারোদা জাদুঘর এবং ছবি গ্যালারীঃ
জনপ্রিয় এই জাদুঘরটি ১৮৯৪ সালে নির্মিত হয়। বৈজ্ঞানিক সরঞ্জামাদি এবং মোঘল আমলসহ হাজার বছরের পুরোনো বিভিন্ন চিত্রশিল্প এই জাদুঘরে স্থান পেয়েছে। জাদুঘরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বস্তু হচ্ছে এখানে মিশরের একটি মমি রাখা আছে!
তিব্বতীয় লাইব্রেরী
১৯৭০ সালের ১১ জুন ভারতের হিমাচল প্রদেশে তিব্বতীয় বৌদ্ধদের বিভিন্ন জীবনাচরণ নিয়ে গড়ে ওঠে এই লাইব্রেরী।
ভিরাসাত-ই-খালসা
২০১১ সালে নির্মিত এই জাদুঘরটি প্রায় নতুনই বলা যায়। এ জাদুঘরে তুলে ধরা হয়েছে পাঞ্জাবি এবং শিখদের গত ৫০০ বছরের ইতিহাস। বিনা টিকিটেই এই জাদুঘরটি ভ্রমণের ব্যবস্থা রেখেছে কতৃপক্ষ
সায়েন্স সিটি কোলকাতাঃ
উপমহাদেশের সবথেকে বড় বিজ্ঞান জাদুঘর হচ্ছে কোলকাতার সায়েন্স সিটি। ১৯৯৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সায়েন্স পার্ক, ডায়নামোশন হল, এক্সপ্লোরেশন হল সহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় বস্তু রয়েছে এখানে।
তথ্যসূত্রঃ ইন্ডিয়া টাইমস