দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাবরি মসজিদ নিয়ে ৯ নভেম্বর ভারতের সুপ্রিমকোর্ট যে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে, তা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ১০০ মুসলিম ব্যক্তিত্ব। এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের এই রায়কে মেনে নিতে পারেনি মুসলিম সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষ হতে শুরু করে পণ্ডিত ব্যক্তিরাও। যে কারণে এই রায়কে একপেশে এবং বর্ণবাদীর পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে আখ্যায়িত করে তারা পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন। তবে তাদের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ, শাবানা আজমিসহ অন্তত আরও ১০০ মুসলিম ব্যক্তিত্ব।
বাবরি মসজিদ নিয়ে ৯ নভেম্বর ভারতের সুপ্রিমকোর্ট যে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে, তা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ১০০ মুসলিম ব্যক্তিত্ব। এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের এই রায়কে মেনে নিতে পারেনি মুসলিম সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষ হতে শুরু করে পণ্ডিত ব্যক্তিরাও। যে কারণে এই রায়কে একপেশে এবং বর্ণবাদীর পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে আখ্যায়িত করে তারা পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন। তবে তাদের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ, শাবানা আজমিসহ অন্তত আরও ১০০ মুসলিম ব্যক্তিত্ব।
তারা মনে করেন যে, যতোদিন রাম জন্মভূমি এবং বাবরি মসজিদের মামলা বেঁচে থাকবে, ততোদিন মুসলমান সম্প্রদায়ের আরও ক্ষতি সাধিত হবে। পুনর্বিবেচনার আবেদন দায়েরের বিরোধিতা করে মুসলিম সম্প্রদায়ের যেসব ব্যক্তিত্ব যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন- তাদের মধ্যে মুসলিম বিদ্বান, সমাজসেবক, উকিল, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, কবি, অভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্দেশক, থিয়েটার জগতের শিল্পী, সংগীত পরিচালক এবং বিদ্যার্থীরাও রয়েছেন।
যাতে বলা হয়েছে, ভারতীয় মুসলিম সম্প্রদায়, সংবিধানিক বিশেষজ্ঞ ও ধর্মনিরপেক্ষ সংগঠন অখুশি হলেও এটি মাথায় রাখতে হবে যে, দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় নিজের সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য আইনের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখেছে। বিবৃতিতে এ কথাও বলা হয়েছে যে, অযোধ্যা বিবাদ জীবিত রাখার মনেই হলো, ভারতীয় মুসলমানদের আরও ক্ষতি ডেকে আনা এবং তাদের বিপদে ফেলা। এই বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন- অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ, শাবানা আজমি, সাংবাদিক জাভেদ আনন্দ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর অযোধ্যা মামলার রায় দানের সময় সুপ্রিমকোর্ট বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে রামমন্দির নির্মাণের রায় দিয়েছে। মসজিদ বানানোর জন্য ৫ বিচারপতির বেঞ্চ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একর জমি দেওয়ার রায় দিয়েছে। আদালতের ওই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পারায় অল ইন্ডিয়া পার্সোনাল ল বোর্ড ও জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দ (আরশাদ মদনী গুট) ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি করেছে।