The Dhaka Times
তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে রাখার প্রত্যয়ে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সামাজিক ম্যাগাজিন।

redporn sex videos porn movies black cock girl in blue bikini blowjobs in pov and wanks off.

রোহিঙ্গা গণহত্যার ১ম দিনের শুনানি শেষে যা উঠে এলো [বিস্তারিত তথ্য]

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘটিত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতম গণহত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের চিত্র তুলে ধরেছেন মামলার বাদী গাম্বিয়ার আইনজীবীরা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) বিচার শুরু হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টার দিকে এই মামলার শুনানি শুরু হয়ে চলে ৬.১০ মিনিট পর্যন্ত।

রোহিঙ্গা গণহত্যার ১ম দিনের শুনানি শেষে যা উঠে এলো [বিস্তারিত তথ্য] 1

সংবাদ মাধ্যমগুলোর সংবাদে বলা হয়েছে, ৩ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ধরে চলা ওই শুনানিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাছে মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘটিত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতম গণহত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের চিত্র তুলে ধরেছেন মামলার বাদী গাম্বিয়ার আইনজীবীরা। এই সময় প্রোজেক্টরে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের চালানো নৃশংসতার সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিজেতে দায়েরকৃত মামলার শুনানির শুরুতেই সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্বোধ এই হত্যাকাণ্ড বন্ধে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গাম্বিয়ার আইন ও বিচারমন্ত্রী আবুবকর মারি তামাবাদু। মামলার শুনানির শুরুতেই আইসিজের প্রধান বিচারপতি আব্দুল কাই আহমেদ ইউসুফের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গাম্বিয়া যা বলছে তা হলো আপনি মিয়ানমারকে এই নির্বোধ হত্যাকাণ্ড অচিরেই বন্ধ করতে বলুন।

সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়, হেগে রোহিঙ্গা গণহত্যার এই বিচারপ্রক্রিয়ায় দেশের হয়ে আইনি লড়াই চালানোর জন্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি।

আদালতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবী তাফাদজ পাসিপান্দো বলেছেন, রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণের কথা অস্বীকার করার জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি কৌশল অবলম্বন করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘ফেক রেপ’ নামে একটি পেজও খোলা হয়; এই পেজের নিয়ন্ত্রণ করছে স্টেট কাউন্সিলরের দফতর।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা নারীদের গণধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে। তবে সু চি বলেছেন, সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর কেও নোংরা বাঙালি মেয়েদের স্পর্শ করবে না। কারণ হলো তারা আকর্ষণীয় নয়। তার আগে মামলার শুনানির শুরুতে গাম্বিয়ার আইন ও বিচারমন্ত্রী আবুবকর মারি তামাবাদু বলেন যে, বর্বর ও নৃশংস এসব কাজ; যা আমাদের সবার বিবেককে ভীষণভাবে আঘাত করেছে। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। মিয়ানমারকে নিজ দেশের মানুষদের হত্যা বন্ধ করতে হবে।

রোহিঙ্গা গণহত্যার ১ম দিনের শুনানি শেষে যা উঠে এলো [বিস্তারিত তথ্য] 2

আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত গণহত্যার এই মামলার চূড়ান্ত রায় দিতে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে। রোহিঙ্গাদের যাতে আর কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা চেয়েছে গাম্বিয়া।

দেশটির আইনজীবীরা আন্তর্জাতিক এই আদালতে রাখাইনে গণধর্ষণ, রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর পোড়ানো, শত শত রোহিঙ্গা মুসলিম শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যার কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে, এগুলো গণহত্যারই আলামত। আদালত কক্ষে গাম্বিয়ার আইনজীবী দলের সদস্যরা যখন মিয়ানমারের নৃশংসতার চিত্র তুলে ধরেন ঠিক তখন নির্বিকার দেখা যায় অং সান সু চিকে। এই সময় আদালতের বাইরে কয়েক ডজন রোহিঙ্গা ন্যায়বিচারের দাবিতে সমাবেশ করে।

এই সময় মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ইয়াঙ্গুনে সু চির সমর্থনে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশ করেছে। সমাবেশে আসা বার্মিজদের হাতে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়। এই সময় অনেকেই ‘দেশের মর্যাদা রক্ষায়’, ‘জননী সু চির পাশে দাঁড়ান’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

রাখাইনের মিন গি গ্রামে নৃশংস এক হত্যাকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে গাম্বিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য অ্যান্ড্রু লোয়েনস্টেইন জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্তকারীদের একটি তদন্ত প্রতিবেদনের বিস্তারিত আদালতের কাছে উপস্থাপন করেছেন। জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনে ওই একটি গ্রামেই প্রায় ৭৫০ জনকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। এই হত্যাকাণ্ডের শিকার এসব রোহিঙ্গার মধ্যে ১০০ জনের বেশিই ছিলো শিশু; যাদের বয়স ৬ বছরেরও নিচে!

জাতিসংঘের ফ্রাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের কাছে দেওয়া এক রোহিঙ্গার জবানবন্দি এই সময় হুবহু তুলে ধরেন আইনজীবী অ্যান্ড্রু লোয়েনস্টেইন। তাতে বলা হয়, ‘আমি চার প্রতিবেশীসহ বাড়িতে প্রবেশ করেছিলাম। আমাদের তিনজনের শিশু সন্তান ছিল। বাড়িতে ঢুকেই উঠানে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখি: আমাদের গ্রামের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের মরদেহ। একদিন বাড়িতে প্রবেশ করার পরপরই সৈন্যরা দরজা বন্ধ করে দেন। একজন সৈন্য আমাকে ধর্ষণ করে। সে আমার পেছনে, গলায় এবং তলপেটে ছুরিকাঘাতও করে। আমি আমার বাচ্চাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম; ওর বয়স ছিল মাত্র ২৮ দিন। তবে তারা তাকে জানালা দিয়ে মাটিতে ছুড়ে মারে ও সঙ্গে সঙ্গেই সে মারা যায়।’

জানা গেছে, হেগের আদালতে এই মামলাটির শুনানি চলবে আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মামলায় গণহত্যার দায় অস্বীকারের পক্ষে সাফাই গাইতে লড়ছেন অং সান সু চি নিজেই। আজ (বুধবার) স্থানীয় সময় ১১টায় হেগে মিয়ানমারের পক্ষে সাফাই গাইবেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় এই উপদেষ্টা অং সান সু চি।

ইতিপূর্বে শুনানির শুরুতেই এই মামলার প্রধান বিচারপতি আব্দুল কাই আহমেদ ইউসুফ অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। সোমালীয় বংশোদ্ভূত এই বিচারপতি পরে গাম্বিয়া এবং মিয়ানমারের পক্ষে একজন করে অ্যাডহক বিচারক নিয়োগ দেন। দুই অ্যাডহক বিচারপতি গাম্বিয়ার নাভি পিল্লাই ও মিয়ানমারের প্রফেসর ক্লাউস ক্রেস। তারা মামলার বিচারপ্রক্রিয়ার শুরুতেই শপথ গ্রহণ করেন।

আইসিজের রেজিস্ট্রার ফিলিপ গোতিয়ে অন্তর্বর্তী পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে গাম্বিয়ার করা এক আবেদনের বিস্তারিত তথ্য পড়ে শোনান। তারপর অধ্যাপক পায়াম আখাভান রাখাইনে গণহত্যার বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার ছিলো জাতিসংঘের গণহত্যা সনদের ৭০তম বার্ষিকী। তবে এই সনদের শর্ত মোতাবেক গণহত্যা বন্ধ করেনি মিয়ানমার।

যেভাবে আইসিজেতে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলা শুরু

জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গত নভেম্বর মাসে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক এই আদালতে গণহত্যার দায়েরের এটি ছিলো তৃতীয় মামলা ।

গাম্বিয়া এবং মিয়ানমার দুই দেশই ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ। জেনোসাইড কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী হিসেবে শুধু গণহত্যা থেকে বিরত থাকা নয় বরং এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ ও অপরাধের জন্য দেশগুলো বিচারের মুখোমুখি হতে বাধ্য।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে জেনোসাইড কনভেনশন প্রথম যে মামলা হয়েছিল সার্বিয়ার বিরুদ্ধে সেটি ১৯৯৩ সালে। এই মামলায় সার্বিয়া বসনিয়া হার্জেগোভিনিয়ায় গণহত্যা প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছিল বলে প্রমাণও হয়।

কানাডা, বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, তুরস্ক ও ফ্রান্স জোর দিয়ে বলেছে যে, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার এক গণহত্যা চালিয়েছে। ইসলামী দেশসমূহের সংগঠন ওআইসি তার ৫৭টি সদস্য দেশকে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতে তোলার কাজে সহায়তাও করে।

যেভাবে মামলার তদন্ত শুরু হয়

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মিয়ানমারের বিচারের এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আছে বলে সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়। চলতি বছরের মার্চে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর ফাতো বেনসুদা মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

তারপর ৪ জুলাই রোহিঙ্গাদের ওপর যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা সেটি নিয়ে তদন্ত শুরু করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসির অনুমতি চান প্রসিকিউটর ফাতো বেনসুদা। জুলাই মাসে তার তদন্ত দল বাংলাদেশে এসে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছ থেকে ব্যাপক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে।

তারপর প্রাথমিক তদন্ত শেষে পূর্ণ তদন্তের জন্য আবেদন করেন ফাতো বেনসুদা। তাতে সায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারকরা। যে কারণে প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা মুসলিমদের অত্যাচার-নিপীড়নের ঘটনায় কোনো আন্তর্জাতিক আদালতে তদন্ত শুরু হয়।

তবে শুরুর দিকে অনেকেই এই প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কারণ হলো মিয়ানমার আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র নয়। একইভাবে আইসিসির প্রতিনিধি দলকেও রাখাইনে পরিদর্শনে যাওয়ার অনুমতিও দেয়নি মিয়ানমান।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে রক্তাক্ত সামরিক অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সামরিক বাহিনীর জ্বালাও-পোড়াও, খুন, ধর্ষণের মুখে ৭ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। জাতিসংঘও মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এই অভিযানকে গণহত্যার অভিপ্রায়ে পরিচালনা করেছে বলেই মন্তব্য করে।

Loading...
sex không che
mms desi
wwwxxx
bn_BDBengali