দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঝাণ্ডাবাহী কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনার মাধ্যমে ওয়াশিংটন একটি ভয়ঙ্কর, কাণ্ডজ্ঞানহীন ও উত্তেজনা সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ। গতকাল (শুক্রবার) ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটে মার্কিন সেনাদের বিমান হামলায় সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।
উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঝাণ্ডাবাহী কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনার মাধ্যমে ওয়াশিংটন একটি ভয়ঙ্কর, কাণ্ডজ্ঞানহীন ও উত্তেজনা সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ। গতকাল (শুক্রবার) ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটে মার্কিন সেনাদের বিমান হামলায় সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।
জারিফ এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দাও জানান। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী মার্কিন সেনাদের কাপুরুষোচিত হামলায় সন্ত্রাস-বিরোধী যুদ্ধের ঝাণ্ডাবাহী এই জেনারেলের শাহাদাতের কারণে তার রেখে যাওয়া প্রতিরোধ আন্দোলনের বটবৃক্ষ আরও বিশাল এবং বিস্তৃত হবে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ঔদ্ধত্বপূর্ণ এবং হঠকারী হামলার যে কোনও পরিণতির দায় ওয়াশিংটনকেই বহন করতে হবে। ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এখন যে সিদ্ধান্ত নেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, গতকাল (শুক্রবার) ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে অন্তত ৪টি রকেট নিক্ষেপ করে। ওই হামলার ঘটনায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডসের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি নিহত হন।
ইরাকের সেনা বাহিনী জানিয়েছে, মধ্যরাতের পরে হাশাদের কনভয় লক্ষ্য করে বিমানবন্দরে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ ৮ জনের মৃত্যু ঘটে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন। হোয়াইট হাউস এক টুইটর বার্তায় জানায়, বিদেশে মার্কিন অফিসারদের সুরক্ষায় প্রেসিডেন্টের নির্দেশে সোলেইমানিকে হত্যা করে চূড়ান্তভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যিনি মূলত ইরানিয়ান রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস- কুদ ফোর্সের প্রধান ছিলেন। অনেক পূর্বেই কুদ ফোর্সকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।