দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, ভয়েস কল রেট কমানো হবে। তবে এই সুবিধা সকলেই পাচ্ছেন না। শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ভয়েস কলের ক্ষেত্রে কল রেট কমানো হচ্ছে ৬৫ শতাংশ। সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে জানা গেছে, এখন বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ যেমন ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসএ্যাপ, ভাইবার ইত্যাদির মাধ্যমে খুব সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিদেশে কথা বলা সম্ভব হয়। যে কারণে কমে গেছে বিদেশে সরাসরি ফোন কল। এহেন পরিস্থিতিতে কলরেট কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিটিআরসি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, ভয়েস কল রেট কমানো হবে। তবে এই সুবিধা সকলেই পাচ্ছেন না। শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ভয়েস কলের ক্ষেত্রে কল রেট কমানো হচ্ছে ৬৫ শতাংশ। সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে জানা গেছে, এখন বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ যেমন ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসএ্যাপ, ভাইবার ইত্যাদির মাধ্যমে খুব সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিদেশে কথা বলা সম্ভব হয়। যে কারণে কমে গেছে বিদেশে সরাসরি ফোন কল। এহেন পরিস্থিতিতে কলরেট কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিটিআরসি।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, আইজিডব্লিউ অপারেটরদের ফোরামের (আইওএফ) একটি প্রস্তাবের পর সম্প্রতি এক বৈঠকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এমন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন দেশ হতে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ভয়েস কল কমিয়ে দেওয়ার জন্য ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) অপারেটররাই দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
ইন্টারন্যাশনাল লং ডিসট্যান্স টেলিকমিউনিকেশনন্স সার্ভিসেস (এলডিটিএস) পলিসি- ২০০৭ -এর আলোকে সব মোবাইল অপারেটরকে আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদান অবশ্যই আইজিডব্লিউ অপারেটরের মাধ্যমেই করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, ইন্টারনেট ও মোবাইল যুগ আসার পর বিটিআরসির ইনকাম একেবারেই শূন্যের কোটায় গিয়ে ঠেকেছে। কারণ মোবাইলে এখন ঘরে বসে মানুষ ইচ্ছে মতো কথা বলতে পারেন অত্যন্ত কম রেটে। ইন্টারনেট আসার সুবাধে ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসএ্যাপ, ভাইবার, স্কাইপির মাধ্যমে মানুষে বিদেশে অবস্থারত প্রবাসীদের সঙ্গে খুব সহজেই কথা বলতে পারেন। যে কারণে টিএণ্ডটির ফোন এখন বলা যায় প্রায় অচল অবস্থায় এসে পড়েছে। যে কারণে সম্প্রতি বিটিআরসি দেশের লোকাল কল রেটও একেবারে শূন্যের কোটায় নিয়ে এসেছে। মাসিক কলচার্জ বাদ দিয়ে সেই স্থলে টিএণ্ডটি টু টিএণ্ডটি কলরেট এখন বিনামূলে দেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত অর্থাৎ ১৫০ টাকায় অফুরন্ত কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তারপরও সেভাবে ব্যবহার হচ্ছে না টিএণ্ডটি ফোন। বিশেষ করে পুরোনো বিলগুলো যদি মওকুফ করে নতুন করে স্থানীয় সংযোগ নেওয়ার ব্যবস্থা টিএণ্ডটি করে তাহলে হয়তো লোকাল ফোন ব্যবহার আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তাহলে এই খাতে আবার হয়তো প্রাণ চাঞ্চল্য আসলেও আসতে পারে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।