দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরাক থেকে তুরস্ক, মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি। রয়েছে হাজার হাজার সৈন্য। ইরানের হুমকির পর এই ঘাঁটিগুলোতে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারির পাশাপাশি বাড়তি সৈন্য পাঠানোর ঘোষণাও দিয়েছে পেন্টাগন।
ইরাক থেকে তুরস্ক, মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি। রয়েছে হাজার হাজার সৈন্য। ইরানের হুমকির পর এই ঘাঁটিগুলোতে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারির পাশাপাশি বাড়তি সৈন্য পাঠানোর ঘোষণাও দিয়েছে পেন্টাগন।
ইরাক
ইরাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কতো সৈন্য রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান কারও কাছে নেই। তবে গ্রিন জোন, বাগদাদের কূটনৈতিক এলাকা, আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে বর্তমানে মার্কিন সেনাসদস্য রয়েছে। যার সংখ্যা আনুমানিক ৬ হাজার হতে পারে।
কুয়েত
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র কুয়েত। দুই দেশের মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা সহায়তা চুক্তিও। দেশটিতে রয়েছে কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটি। যেখানে প্রায় ১৩ হাজার সৈন্য অবস্থান করছে।
সিরিয়া
সিরিয়ার কোথায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কতো সংখ্যক সৈন্য আছে সে বিষয়টি গোপন রয়েছে। অক্টোবরে সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করেছে পেন্টাগন। তার আগ পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ২ হাজার সৈন্য ছিল, বর্তমানে যা ৮০০ জনে নেমে এসেছে। যেসব ঘাঁটি চালু রয়েছে তার একটি সিরিয়ান-জর্ডান সীমান্তে। এর কাছেই রয়েছে ইরানীয় ও তাদের সমর্থিত বাহিনী।
জর্ডান
ইরাক, সিরিয়া, ইসরাইল ও সৌদি আরবের সঙ্গে সীমান্ত বিদ্যমান জর্ডানের। কৌশলগত দিক থেকে তাই মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থান হলো এটি। দেশটির মুভাফফাক ছালটি বিমান ঘাঁটি থেকে সিরিয়ায় আইএস বিরোধী হামলা চালানো হয়। অবশ্য কিং ফয়সাল বিমান ঘাঁটিতে ২০১৬ সালে তিন মার্কিন সেনা নিহত হয় জর্ডানের বিমান বাহিনীর গুলিতে।
সৌদি আরব
সৌদি আরবে বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩ হাজার সেনাসদস্য রয়েছে। অক্টোবরে সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলার পর ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সংঘাতের শঙ্কায় সেখানে আরও সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দেয় তারা।
ওমান
ওমানের অবস্থান মূলত হরমুজ প্রণালীর কাছে আরব উপকূলে, যা জ্বালানি পরিবহনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথ। গত বছরের মার্চে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিমান এবং সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয় ওমান। সেখানে বর্তমানে ৬০০ মার্কিন সৈন্য রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত
হরমুজ প্রণালীর পাশে থাকা আরেক দেশ হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। তাদেরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের সেঙ্গ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে ৫ হাজার মার্কিন সৈন্য পাঠিয়েছে পেন্টাগন।
বাহরাইন
বাহরাইনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি নৌ ঘাঁটি রয়েছে। দ্বীপ রাষ্ট্রটি বরাবরই সৌদি আরবের মিত্র একটি দেশ। ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের পদক্ষেপের সমর্থকও তারা। বর্তমানে সেখানে ৭ হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে বলে এক তথ্যে জানা যায়।
কাতার
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটিটি কাতারের আল উদিদে। এর আধুনিকায়নে ২০১৮ সালে ১৮০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছে কাতার। বর্তমানে সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ হাজার সৈন্য নিযুক্ত রয়েছে।
তুরস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য রয়েছে তুরস্কতেও। দেশটির ইনজিরলিক বিমান ঘাঁটিসহ বেশ কিছু স্থানে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে।
তথ্যসূত্র: একুশে টেলিভিশন