দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক কথায় বলতে গেলে এক বিস্ময়কর উঁচু শহর। তার থেকেও বিস্ময়কর হলো এই উঁচু শহরের অদ্ভুত কিছু নিয়ম-কানুন! সত্যিই ভাবতে গেলে সব কিছুই যেনো অদ্ভুত লাগে! বিস্ময়কর ওই শহরটি হলো পেরুর লা রিঙ্কোনাডা। কেনোনা শহরটি সমতল ভূমি হতে প্রায় ৫ হাজার একশ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। আর তাই এই শহরের বাসিন্দাদের পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচুতে বসবাসকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।
এক কথায় বলতে গেলে এক বিস্ময়কর উঁচু শহর। তার থেকেও বিস্ময়কর হলো এই উঁচু শহরের অদ্ভুত কিছু নিয়ম-কানুন! সত্যিই ভাবতে গেলে সব কিছুই যেনো অদ্ভুত লাগে! বিস্ময়কর ওই শহরটি হলো পেরুর লা রিঙ্কোনাডা। কেনোনা শহরটি সমতল ভূমি হতে প্রায় ৫ হাজার একশ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। আর তাই এই শহরের বাসিন্দাদের পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচুতে বসবাসকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।
তবে অবাক করার একটি বিষয় হলো, শহরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। আরও মজার বিষয় হলো, এখানকার মানুষ একটি মাত্র কাজে সারাদিন লেগে থাকেন। আর সেটি হলো স্বর্ণের খোঁজ!
বিশাল আন্দিজ পর্বতমালার যে অংশটুকু পেরু অঞ্চলে পড়েছে তার একেবারে শেষের দিকে গড়ে উঠেছে এই শহরটি। যদিও এটি শুধুমাত্র নামেই শহর। শহরের কোনো সুযোগ-সুবিধাই পাবেন না এখানে। খুব রুক্ষ ও কঠোর জীবন পাড়ি দিতে হয় তাদেরকে। অনেক উঁচুতে অবস্থিত বলে এখানে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকে এবং প্রচণ্ড ঠাণ্ডাও।
তবে প্রথম দিকে এখানকার অবস্থা মোটেও এমন ছিল না। সামান্য কয়েকটি পরিবার এই অঞ্চলে বসবাস করতো। পরবর্তী সময় যখন এখানে স্বর্ণ পাওয়া শুরু করলো, তখন বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ স্বর্ণের লোভে এখানে আসতে থাকে। তবে বাইরে ঠাণ্ডা হলেও স্বর্ণের খনির মধ্যে বেশ গরম। যে কারণে গরম ও ঠাণ্ডা দুই পরিবেশেই এই শহরের মানুষদের থাকতে হয়।
এছাড়াও এখানে যারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন, তারা অদ্ভুত একটি চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়ে কাজ করেন। মজার বিষয় হলো, কোম্পানির কোনো রকম বেতন গুনতে হয় না শ্রমিকদের জন্য।
মাসে একদিন শ্রমিকদের স্বাধীনতা প্রদান করা হয়। অর্থাৎ বেতনস্বরূপ মাসে একদিন তারা খনি থেকে যে পরিমাণ স্বর্ণ উদ্ধার করতে পারবেন তার সবটুকুই তাদের হয়ে যায়!