দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খৃস্টাব্দ, ১৫ ফাল্গুন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, ৪ রজব ১৪৪১ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে দৃশ্যটি আপনারা দেখছেন সেটি ঐতিহাসিক সিলেট শাহী ঈদগাহ। বাংলাদেশের প্রাচীনতম ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে সিলেট শাহী ঈদগাহ অন্যতম।
নিপুণ কারুকার্যময় শাহী ঈদগাহটি ১৭০০ সালের দিকে মোগল ফৌজদার ফরহাদ খাঁ নির্মাণ করেছিলেন। ২২টি সিঁড়ি মাড়িয়ে ১৫টি গম্বুজ সজ্জিত শাহী ঈদগাহের মূল চত্বরের মধ্যে প্রবেশ করতে হয়। সীমানা প্রাচীরে ঘেরা ঈদগাহের চারদিকে ছোট বড় ১০টি গেইট বিদ্যমান।
এই ঈদগায়ে প্রায় দেড় লাখ মুসল্লী একসঙ্গে ঈদের নাযাজ আদায় করতে পারেন। শাহী ঈদগাহের উত্তর দিকে একটি মসজিদও রয়েছে, যা শাহী ঈদগাহ মসজিদ নামেই পরিচিত। মসজিদের পাশেই সুউচ্চ টিলার উপর রয়েছে বন কর্মকর্তার বাংলো। ঈদগাহের সামনে অবস্থিত বিশাল পুকুরে আগত মুসল্লিরা অজুর করে থাকেন। এছাড়াও দক্ষিণ দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিলেট কেন্দ্র এবং পূর্ব দিকে হযরত শাহজালাল (র.) এর সফরসঙ্গী শাহ মিরারজী (র.) এর মাজার এবং রয়েছে সিলেট আবহাওয়া অফিস।
বর্তমানে শাহী ঈদগাহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা প্রবাহের সাক্ষী হিসাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ১৭৮২ খ্রীষ্টাব্দে এই শাহী ঈদগাহে সৈয়দ মোহাম্মদ হাদী ও সৈয়দ মোহাম্মদ মেহেদী দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে ইংরেজ বিরোধী অভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিলো। এছাড়াও এখানে মহাত্মা গান্ধী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের সহ অনেক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নেতাদের আগমন ঘটেছে। কারণ অতীতে সিলেটে সকল ধরনের বড় জন সমাবেশের জন্য শাহী ঈদগাহকে বেছে নেওয়া হতো।
তথ্যসূত্র: https://vromonguide.com