দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০২০ খৃস্টাব্দ, ২৯ ফাল্গুন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, ১৭ রজব ১৪৪১ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে দৃশ্যটি আপনারা দেখছেন সেটি মাই সাহেবা জামে মসজিদের দৃশ্য। এটি একটি ২৫০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক মসজিদ। প্রায় ৯ হাজার মানুষ একত্রে এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারেন।
জানা যায়, শেরপুর জেলা শহরে প্রবেশের পর সর্বপ্রথম ঐতিহ্যবাহী মাই সাহেবা জামে মসজিদ (Mai Saheba Jame Masjid) আপনার নজরে আসবে। আনুমানিক ২৫০ বছর পূর্বে নির্মিত এই মসজিদটি বিভিন্ন সময় সংস্কার করা হলেও তাতে ঐতিহ্যের ছাপ স্পষ্টতই লক্ষ্য করা যায়। শেরপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র শেরপুর সরকারি কলেজের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত মাইসাহেবা মসজিদের দুইটি সুউচ্চ মিনার শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দৃষ্টিগোচর হবে।
এই মাইসাহেবা জামে মসজিদের নামকরণ নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত রয়েছে। তৎকালীন সময় শেরপুরের তিনআনি জমিদার মুক্তাগাছার জমিদারকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। মুক্তাগাছার জমিদার তার বদৌলতে শেরপুরের কিছু জায়গা চেয়েছিলেন। শেরপুরের জমিদার মসজিদের এই জায়গাটি মুক্তাগাছার জমিদারকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং হাতি দিয়ে সেখানে বিদ্যমান খাজনা তোলায় ব্যবহৃত ঘর ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশও দেন। তবে হাতিকে নিয়ে বার বার ঘরের কাছে যাওয়া মাত্রই হাতি সালাম দিয়ে বসে পড়ে। এই কথা শুনে তিনআনি জমিদার নিজে এসে দেখতে পান এই ঘরের ভিতর একজন নারী ইবাদতে মগ্ন রয়েছেন। জমিদার তাঁর ভুল বুঝতে পারেন ও ক্ষমা চেয়ে ফেরত যান। সেই নারীর নামই ছিল মাই সাহেবা। মাই সাহেবার মৃত্যুর পর জমিদার এখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করে মাইসাহেবা জামে মসজিদ নামকরণ করেছিলেন।
৩ তলা বিশিষ্ট মাই সাহেবা জামে মসজিদ বর্তমানে সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। মসজিদে একত্রে প্রায় ৯,০০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। প্রতি শুক্রবার শেরপুর শহর ছাড়াও আশেপাশের অঞ্চল হতে হাজার হাজার মুসল্লী এই মসজিদে নামাজ পড়তে আসেন। মাইসাহেবা জামে মসজিদ ময়মনসিংহ বিভাগের সবচেয়ে বেশি দান গ্রহণকারী মসজিদ হিসাবেও পরিচিত লাভ করেছে। মুসলমান ব্যতীত অন্য ধর্মাবলম্বীরাও এখানে নিয়মিতভাবে দান করে থাকেন বলে জানা যায়।
তথ্যসূত্র: https://vromonguide.com