দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীন ছাড়িয়ে এবার গোটা দুনিয়ায় থাবা বসিয়েছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। এশিয়া, ইউরোপ এমনকি উত্তর ও লাতিন আমেরিকাতেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত হারে করোনার সংক্রমণ ঘটায় বিশ্বব্যাপী মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু।
করোনা ভাইরাসে গোটা বিশ্বেই মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজারের মতো মানুষের। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। এবার করোনা ভাইরাসের জেরে রোগকে (COVID-19) বিশ্বব্যাপী মহামারির তকমা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু (WHO)।
উদ্বেগজনক ভাবে, চীনের যে উহান থেকে যে ভাইরাস প্রথম ছড়িয়েছিল তা আজ গোটা বিশ্বে দাপট দেখিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই প্রাণঘাতি ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লড়াই করেছে চীন প্রশাসন। যে কারণে উহানে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যাও আস্তে আস্তে কমছে সেখানে। তবে ইটালি ও ইরানে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুমিছিল যেনো বেড়েই চলেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, চীনের পর এই দুই দেশ করোনার জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শীঘ্রই বাকি দেশগুলিও এই ভয়াবহতা দেখতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে WHO।
সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘিব্রেসুস গত পরশু (বুধবার) জানিয়েছেন, ‘দ্রুত হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি ও অব্যবস্থা দেখে উদ্বেগ যেনো আরও বাড়ছে। তাই COVID-19 বিশ্বব্যাপী মহামারির আকার ধারণ করেছে, তা বলা যেতেই পারে। তবে তার মানে এই নয় যে, আশা ছেড়ে দেওয়া হবে। বরং তাঁর আশা, সব দেশ চেষ্টা করলে এই প্রাণঘাতি ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দিতে পারে। প্রত্যেক দেশকে দ্রুততম সময়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানানো হয়। বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। বিপদ ঘণ্টাও বাজানো হয়েছে। জোরে এবং খুব স্পষ্টভাবে।’
এবার প্রশ্ন উঠেছে যে বিশ্বব্যাপী মহামারি কী? যখন কোনও রোগ কিংবা সংক্রমণ দ্রুত হারে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে তখন তাকে বিশ্বব্যাপী মহামারির তকমা দেওয়া হয়ে থাকে। এই ধরনের মহামারি ভৌগলিকস্তরে ছড়িয়ে পড়ার উপরই সব কিছু নির্ভর করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১১৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রাণঘাতি ভাইরাসের সংক্রমণ। মৃত্যু হয়েছে ৪,২৯১ ব্যক্তির। ১ লক্ষ ১৮ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।