দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০ খৃস্টাব্দ, ৫ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, ২৪ রজব ১৪৪১ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে দৃশ্যটি আপনারা দেখছেন সেটি জামালপুর শাহী মসজিদ। এই মসজিদটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।
গাইবান্ধা জেলা সদর হতে ১৬ কিলোমিটার পশ্চিমে সাদুল্লাপুর উপজেলার অন্তর্গত বড় জামালপুর গ্রামে জামালপুর শাহী মসজিদের অবস্থান। জনশ্রুতি রয়েছে যে, প্রায় ৬০০ বছর পূর্বে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ইরাক হতে ৩৬০ জন আউলিয়া বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিলেন। এদের মধ্যেই গাইবান্ধা শহরে আগমনকারী সুফি হযরত শাহ জামাল (রঃ) এর তত্ত্বাবধানে এই ঐতিহাসিক শাহী মসজিদটি নির্মিত হয়েছিলো এবং তাঁর নামানুসারে ইউনিয়ন পরিষদ এবং মসজিদের নামকরণ করা হয়। মসজিদের ঠিক উত্তর পাশেই হযরত শাহ জামালের মাজারের অবস্থান।
জামালপুর শাহী মসজিদটি দীর্ঘদিন ধরে মাটি চাপা পড়েছিল। পরবর্তীতে ৬০ শতকে গাইবান্ধা মহকুমা প্রশাসক হক্কানী কুতুবউদ্দিন নামের জনৈক ব্যাক্তি মসজিদ অনুসন্ধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়ে মসজিদের স্থানে গজিয়ে উঠা বটগাছ ভেঙ্গে পড়লে স্থানীয় মানুষজন মসজিদটি দেখতে পান। সে কারণে অনেকেই একে গায়েবি মসজিদ হিসেবেও অবহিত করে থাকেন। মসজিদের সামনে একটি বিশালাকারের দিঘীও রয়েছে, দীঘিটিকে ঘিরে নানা লোককথা প্রচলিত রয়েছে।
জামালপুর শাহী মসজিদের নিচের দেওয়াল ৭২ ইঞ্চি এবং উপরের দেওয়াল ৫৬ ইঞ্চি পুরুত্ব বিশিষ্ট। মসজিদের ভিতরে মাত্র ২ কাতারে নামায আদায় করার সুযোগ ছিল। তাই মূল অবকাঠামো ঠিক রেখেই মসজিদ সম্প্রসারণ এবং সংস্কার করা হয়। বর্তমানে দ্বিতল এই শাহী মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় ৬০০-৭০০ মুসল্লি নামায আদায় করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: https://vromonguide.com