দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস মহামারিতে বাসা হতে কাজ করছেন অসংখ্য মানুষ। এই বিষয়েও সতর্কবার্তা দিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা প্রতিষ্ঠানের ডেটায় অনুপ্রেবেশের চেষ্টা করবে বলেও আশংকা প্রকাশ করেছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।
প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস মহামারিতে বাসা হতে কাজ করছেন অসংখ্য মানুষ। এই বিষয়েও সতর্কবার্তা দিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা প্রতিষ্ঠানের ডেটায় অনুপ্রেবেশের চেষ্টা করবে বলেও আশংকা প্রকাশ করেছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।
দূর থেকে কাজ করা জনশক্তির বিপদের ব্যাপারে পূর্বেই সতর্কবার্তা জারি করেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অন্যান্য স্থানের সরকারি কর্মকর্তারাও। আগের তুলনায় গত কয়েক সপ্তাহে দূর হতে কাজ করার পরিমাণ বেড়েছে ১০ ভাগ।
এই বিষয়ে রয়টার্স উল্লেখ করেছে যে, পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিতে করোনা ভাইরাস থিমের সতর্কবার্তা, বার্তা, অ্যাপস, ম্যালিশাস সফটওয়্যার ইত্যাদি নিয়ে হাজির হচ্ছেন অপরাধীরা।
সম্প্রতি সাইবার হামলার কবলে পড়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য বিভাগ। করোনাভাইরাস মহামারীর সুযোগ নিতে দেখা গেছে সাইবার গুপ্তচরদেরও।মূলত প্রযুক্তি কর্মীদের উপর চাপ বাড়ছে ও সাইবার অপরাধীদের কর্মীদের কাছ থেকে পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেওয়ার মতো সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে করোনা ভাইরাস আপডেটকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করে মঙ্গোলিয়ান সরকারের নেটওয়ার্কে সন্দেহভাজন রাষ্ট্র সমর্থিত হ্যাকাররা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান চেক পয়েন্ট।
ইসরায়েলের রাষ্ট্র-মালিকানাধীন ইসরায়েল অ্যারোস্পেসের সাইবার বিভাগের প্রধান এস্টি পেশিন বলেছেন যে, বাসা হতে কাজ করার চলের ব্যাপারটিতে নজর রয়েছে সাইবার অপরাধীদের ভেতরে, যা যা করতে হয় তা করে সংস্থায় অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছেন তারা।অনেক কর্মীই নিয়োগকর্তার ডেটা পেশাদার কর্পোরেট নেটওয়ার্ক হতে শুধু মৌলিক পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে সুরক্ষিত এমন ওয়াইফাই সেটআপেও নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান এভাবে ডেটা নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নিজেদের যে ধরনের বিধিনিষেধ রয়েছে, সেটি শিথিলও করছেন। এভাবে সাইবার অপরাধ বাদেও ডিভাইস চুরি কিংবা খোয়া যাওয়ার মাধ্যমেও ডেটা হারানোর শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে উল্লেখ করা হয়।