দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস ঠেকাতে দেশের পর দেশ, শহরের পর শহরে চলছে লকডাউন। রাস্তাঘাট জনমানবশূন্য হয়ে পড়েছে। লকডাউনের কারণে মানুষ না থাকায় মনের সুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুমির!
বিভিন্ন শহরের নামকরা সমুদ্র সৈকতগুলোতে কোনো রকম পর্যটক নেই। যে কারণে ডাঙায় উঠে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে পানির ভয়ংকর প্রাণী কুমিরের দল। কেও রোদ পোহাচ্ছে, আবার কেও বা অগভীর পানিতে সার্ফিং করছে। এমন দৃশ্য বহু বছর দেখা যায়নি।
এরকম ঘটনা ঘটেছে মেক্সিকোর একাধিক সমুদ্র সৈকতে। এপ্রিল মাসের শুরু হতে লকডাউন চলছে এই দেশটিতে। মেক্সিকো ডেইলি নিউজ সূত্রের এক খবর, মেক্সিকো সিটির লা ভেন্টানিল্লা নামে একটি ইকো ট্যুরিজম স্পটে এই দৃশ্য প্রথম দেখা গেছে।
বেশিরভাগ সমুদ্র সৈকতের একই দৃশ্য। ডাঙায় উঠে এতোটা এগিয়ে আসতে এই প্রথম কুমিরদের দেখা গেছে। পর্যটক থাকার কারণে বেশিরভাগ সময়েই পানির বাইরে বের হতে চায় না কুমিররা। অথচ তারাই এখন নিরাপদে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সম্প্রতি এই দৃশ্যটি ক্যামেরা বন্দি করা হয়েছে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতেই ভাইরাল হয়ে যায়। ডাঙার উপরে কুমিরদের এভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে অবাক হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যে সমুদ্র সৈকতে সবসময় পর্যটকে গিজগিজ করতো সেখানে একজনও নেই। উলটো গিজগিজ করছে কুমিরের দল!
এই দৃশ্য অবশ্য এই প্রথম দেখা গেছে তা নয়। মেক্সিকোর বিভিন্ন অংশে বন্য প্রাণীদের অবাধে ঘুরতে দেখা যায় বিভিন্ন সময়। দ্য সান সূত্রে জানা যায় যে, মেক্সিকোর বেশিরভাগ এলাকাতেই বন্য প্রাণীদের জঙ্গল হতে বেরিয়ে এসে রাস্তায় ঘুরতে দেখা যায় বিভিন্ন সময়। সম্প্রতি টুলুম-এর রাস্তায় গ্র্যান্ড সিরেনিস রিভিয়েরা মায়া রিসর্ট এবং স্পা-এর কাছে একটা বাঘকে ঘুরতে দেখা যায়।
এই ঘটনা অবশ্য শুধুমাত্র মেক্সিকোতেই নয়, গোটা পৃথিবীেতে ঘটছে। যেখানেই চলছে লকডাউন, সেখানেই শহরের রাস্তায় বা লোকালয়ে বন্য প্রাণীদের অবাধে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। লকডাউনে ভারত-বাংলাদেশ হতে শুরু করে লন্ডনেও ঘটছে এমন কাণ্ড। বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকতেও ঘটেছে এমন ঘটনা। সম্প্রতি ডলফিন ও লাল কাঁকড়া অবাধে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে দেখা গেছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।