দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা চলাকালে লকডাউনের বিধিনিষেধ ভেঙে মদের পার্টি করায় জরিমানা গুনতে হচ্ছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। সেই সঙ্গে জরিমানার মুখোমুখি হতে হচ্ছে অর্থমন্ত্রী ঋষী সুনাক ও প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী ক্যারি জনসনকে।
করোনা চলাকালে লকডাউনের বিধিনিষেধ ভেঙে মদের পার্টি করায় জরিমানা গুনতে হচ্ছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। সেই সঙ্গে জরিমানার মুখোমুখি হতে হচ্ছে অর্থমন্ত্রী ঋষী সুনাক ও প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী ক্যারি জনসনকে। তবে কোন পার্টিতে যোগদানের জন্য তাদেরকে এই জরিমানা করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।
গতকাল (১২ এপ্রিল) বিবিসির এক খবরে এই তথ্য জানানো হয়। ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ হতে এই বিষয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদের জরিমানার অঙ্ক জানিয়ে আরেকটি নোটিশও দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, বরিস জনসনই হচ্ছেন প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, যাকে আইন ভঙ্গ করায় জরিমানা করা হলো।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় ব্রিটেনে যখন কঠোর লকডাউন চলছিল, সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং বাসা ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে বেশ কয়েকটি মদের পার্টি হয়, যার কয়েকটিতে যোগ দেন জনসন। সারাদেশের মানুষ যখন কোভিড বিধিনিষেধ মেনে বাড়িতেই ছিলেন, তারমধ্যে আয়োজিত এই পার্টির খবর ফাঁস হওয়ার পর জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। বিরোধীরা ছাড়াও জনসনের পদত্যাগ দাবি করেন তার দলেরই কয়েক জন এমপি। এই বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সু গ্রের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
লন্ডন পুলিশ করোনাবিধি ভেঙে ডাউনিং স্ট্রিট এবং হোয়াইট হলে ১২টি জনসমাগমের অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে। এইসব ঘটনায় ইতিমধ্যেই অর্ধশতাধিক মানুষকে জরিমানাও করা হয়েছে। যাদের জরিমানা করা হয়েছে, তাদের সবার নাম অবশ্য প্রকাশ করবে না পুলিশ। তবে জরিমানাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং অর্থমন্ত্রী ঋষী সুনাক থাকলে তাদের নাম প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দেয় সরকার।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন যে, তিনি কোনো বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করেননি। তবে এই জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করে যে, তার সরকারের বিধিনিষেধ তারাই অমান্য করেছেন। করোনায় প্রাণ হারানো মানুষদের পরিবারের একটি সংগঠন বলেছে যে, প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার আর কোনোই সুযোগ নেই।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।