দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আরবের মরু থেকে ধেয়ে আসা পঙ্গপাল বর্তমানে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। দ্বিতীয়বারের মতো হানা দিয়ে এই মুহূর্তে মধ্য আফ্রিকাতে সাবাড় করছে মাইলের পর মাইল কৃষি জমি।
আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ হলো ইথিওপিয়া। এর্ পাশেই রয়েছে কেনিয়া ও সোমালিয়া। সেখানে পঙ্গপালের আক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বলা হচ্ছে যে, দ্বিতীয় দফায় হানা দেওয়া পতঙ্গগুলোর পাল প্রথমবারের চেয়েও ২০ গুণ বড়। আগামী জুন নাগাদ এগুলো নাকি ৪শ’ গুণ বড় হয়ে যাবে।
আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়া বছরের শুরুতে পঙ্গপালের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাফল্য পেয়েছে। এবার কৃষিজমি রক্ষায় ড্রোন ব্যবহার করতে চলেছে কেনিয়া। দেশটি যে ড্রোন ব্যবহার করতে চলেছে তাতে থাকবে ক্যামেরা এবং ম্যাপিং সেন্সরও। এই ক্যামেরারা মাধ্যমে প্রথমত পঙ্গপালের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে। দ্বিতীয়ত অ্যাটোমাইজার সজ্জিত ড্রোন দিয়ে জমিতে কীটনাশক ছিটানো হবে, যা পঙ্গপাল তাড়ানোতে বড় ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশটিকে এই বিষয়ে উৎসাহিত করছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। সংস্থাটি জানিয়েছে যে, তারা পঙ্গপালের বিরুদ্ধে কোয়াডকপ্টার ও ড্রোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে চান। বিশেষকরে ড্রোন দিয়ে দ্রুতগতিতে বিশাল কৃষিজমি হতে পঙ্গপাল তাড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এফএও’র সিনিয়র কর্মকর্তা কিথ ক্রেসম্যান এই বিষয়ে বলেন, ‘এখনও বিভিন্ন ধরণের ড্রোন দিয়ে যাচাই করা হচ্ছে ও পঙ্গপাল তাড়ানোর সবচেয়ে উপযুক্ত কৌশলও খোঁজা হচ্ছে।’
জানা গেছে, বাংলাদেশের দিকেও নাকি ধেয়ে আসছে এই বিপদ। ভারতের হিন্দু পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয় যে, ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে একদল পঙ্গপাল ভারত উপদ্বীপের কৃষিজমিতে নেমে পড়তে পারে। তারপরই যাবে বাংলাদেশের দিকে। বিশ্লেষকরা বলছেন যে, আফ্রিকায় ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহারে সাফল্য পাওয়া গেলে এটি দক্ষিণ এশিয়াতেও কাজে লাগানো যেতে পারে। যা হবে এই অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তায় একটি বড় মাইলফলক।
উল্লেখ্য, উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের মতে ইংরেজি লোকাস্ট নামে পরিচিত এই পঙ্গপাল। বাংলায় এটির নাম পতঙ্গ, এটি এক জাতের ঘাসফড়িঙও বলা যায়। সাধারণত একেক ঝাঁকে কয়েক লাখ থেকে এক হাজার কোটি পতঙ্গও থাকতে পারে! তখন একেই পঙ্গপাল বলে। পঙ্গপাল যখন ফসলের ক্ষেতে আক্রমণ করে থাকে, তখন তা একজন কৃষকের জন্য রীতিমত দুঃস্বপ্নের বিষয় হয়ে ওঠতে পারে।
তথ্যসূত্র: ড্রোনডজে ডটকম
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।