দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাহে রমজানে আমাদের খাদ্যাভ্যাসে আসে বেশ কিছু পরিবর্তন। তেমনি দাঁত ব্রাশের সময়েরও পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই জেনে নিন এই রমজানে দাঁত ও মুখের যত্ন নেবেন যেভাবে।
যেহেতু রমজানে দীর্ঘ ১২-১৪ ঘন্টা অনাহারে থাকতে হয় তাই দীর্ঘ সময় ব্রাশ না করার কারণে এবং পানি পান না করার কারণে বা অ্যাসিডিটি কিংবা গ্যাস্ট্রিকের জন্য মুখে দুর্গন্ধও হতে পারে। আবার দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণার জন্য মুখে দুর্গন্ধ বা অন্য সমস্যারও সৃষ্টি হতে পারে। তাই রমজানে পরিবর্তিত খাদ্য সূচির জন্য দাঁত এবং মুখকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে ইফতারি হতে সেহরি পর্যন্ত দরকার পর্যাপ্ত যত্ন।
আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কিভাবে রমজানে দাঁত ও মুখের যত্ন নেওয়া যাবে:
# ইফতার হতে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
# ইফতারের পরে ও সেহরির পরে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করতে হবে। ফ্লুরাইড যুক্ত টুথপেষ্ট ব্যবহার করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
# নিয়মিতভাবে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করে দাঁতের মধ্যবর্তী অংশ হতে সুক্ষ্ম খাদ্যকনা বের করে আনতে হবে।
# নিয়মিতভাবে মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।ক্লোরহেক্সিডিন জাতীয় মাউথওয়াশও ব্যবহার করতে পারেন, তবে খেয়াল রাখতে হবে সেটি অবশ্যই যেনো অ্যালকোহল মুক্ত হয়।
# টাং স্ক্রাপার দিয়ে জিহ্বার লেগে থাকা ময়লা পরিস্কার করতে হবে।
# ইফতারের পরে চা, সিগারেট, পান খাওয়া হতে বিরত থাকায় ভালো।
# দাঁত এবং মাড়ির সুস্থতায় ইফতারের সময় আঠালো ও মিষ্টি জাতীয় খাবার না খাওয়াই শ্রেয়।
# মনে রাখতে হবে যে, এই সমস্ত খাবার দাঁতের জন্য খুবই ক্ষতিকর একটি বিষয়। যদি এসব খাবার খেয়েই ফেলেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্রাশ করে নিন।
# অনেক সময় ভিটামিন স্বল্পতার কারণে মাড়ি থেকে রক্তও পড়তে পারে। ইফতারিতে প্রচুর ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যেমন লেবুর শরবত, জাম্বুরা, কমলা লেবু, আমড়া, আনারস, মাল্টা সেই সঙ্গে সালাদ যেমন গাজর, শসা, টমেটো, লেটুস পাতা ইত্যাদির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়াই ভালো।
মুখের সুস্বাস্থ্যের জন্য শুধু রমজান মাসই নয়, সারাবছর’ই মুখের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। নিয়মিত ব্রাশ করুন এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। বছরে ২ বার অন্তত ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
# ডাঃ আবু সাঈদ মোঃ মহিবুল্লাহ, প্রভাষক, মেন্ডি ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল, ওরাল এন্ড ডেন্টাল সার্জন, মেডিকেয়ার ডেন্টাল সেন্টার এর লেখা অবলম্বনে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।