দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আকাশে ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে সম্প্রতি এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেছে। মাত্র তিন বছরের এক শিশুকে ঘুড়ির টানে আকাশে উড়তে দেখা যায়। ঘুড়ির নাটাই ধরে থাকা শিশুটিকে উড়িয়ে নেওয়ার দৃশ্যটি দেখে অবাক হতে হয়েছে উপস্থিত সকলকে।
এমন একটি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানে। দেশটির রাজধানী তাইপের দক্ষিণে হিনচু শহরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে চলছিল আন্তর্জাতিক ঘুড়ি উৎসব। সেই উৎসবের বিশাল এক ঘুড়ির লেজের প্যাঁচে পড়লো ৩ বছরের একটি শিশু এবং সঙ্গে সঙ্গে সেই ঘুড়ি একশ ফুট উঁচুতে উড়িয়ে নিলো ওই শিশুকে।
উপস্থিত জনতা সেইসময় দৃশ্যটির ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। পরে এই ভিডিওটি ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়লে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন লোক লম্বা লেজের কমলা রঙয়ের ঘুড়ি ওড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঘুড়িটি ছেড়ে দিতেই প্রচণ্ড বাতাসে ঘুড়ি উড়া শুরু করে আর তখন এই ঘুড়ির বিশাল লেজে জড়ানো এক শিশুকেও উড়তে দেখা যায়। কীভাবে শিশুটি লেজের প্যাঁচে পড়লো তা অবশ্য জানা যায়নি।
এই সময় একশ’ ফুট উঁচুতে শিশুটিকে উড়িয়ে নিয়ে যায় ঘুড়ি ও সেই সঙ্গে ঘুরপাকও খেতে থাকে অনবরতো। ৩০ সেকেন্ডের মতো আকাশে উড়ছিল ওই শিশুটি। সেই সময় শিশুটিকে চিৎকার দিতেও শোনা যায়।
তারপর ঘুড়ি নিচের দিকে নামতেই দর্শকরা শিশুটিকে ঘুড়ির লেজ থেকে ধরে নামিয়ে নেন। তার পরপরই তার মা ও উৎসবের আয়োজকরা হাসপাতালে নিয়ে যায় শিশুটিকে। তবে শিশুটির জটিল কোন সমস্যা দেখা দেয়নি। তার মুখে ও গলায় সামান্য চোট লেগেছিলো। প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে শিশুটি।
এই ঘটনা ঘটার পর ঘুড়ি উৎসব বন্ধ ঘোষণা করা হয়। হিনচু শহরের মেয়র লিন চিহ-চিয়েন ফেসবুক বার্তায় ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘এই ধরনের ঘটনা যাতে আর কখনও না ঘটে, সেই ব্যাপারটি আমরা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করবো। এজন্য দায়ীদের জবাবদিহি করতে হবে। শহর কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার শিকার হওয়া শিশু এবং তার পরিবার ও উপস্থিত দর্শকদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমাও চেয়েছে।’
উল্লেখ্য, ঘুড়ির কারণে ইতিপূর্বেও বহু স্থানে বিপজ্জনক ঘটনা ঘটেছে। গত বছর চীনের এক ব্যক্তির হাতের ৩টি আঙুল একেবারে কেটে পড়ে যায় ঘুড়ির সুতার টানে। হঠাৎ করে বাতাসের গতি বেড়ে যাওয়ায় নিজের ঘুড়ি শক্ত করে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি আর ঠিক তখনই তার আঙুলগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
দেখুন ভিডিওটি
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।