দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আসন্ন দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা হিসেবে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ইলিশের প্রথম চালান রপ্তানি করা হয়েছে ভারতে। প্রথম দিনে দু’টি ট্রাকে কোলকাতা গেছে ২০ টন ইলিশ। কোলকাতার বাসিন্দারা তিনজনে ভাগে কিনছে এক ইলিশ!
খুলনার জাহানাবাদ ‘সি ফিশ লিমিটেড’ ইলিশের এই চালানটির রপ্তানিকারক। প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ মার্কিন ডলার হিসেবে বাংলাদেশী টাকায় ৮শ’ টাকা। এই দামে রপ্তানি করা প্রতিটি ইলিশের সাইজ এক কেজি হতে ১২শ’ গ্রাম ওজনের।
এই ইলিশ বাজারে পেয়ে আত্মহারা হয়ে পড়েছেন কোলকাতার ক্রেতারা। সেখানে সাধ্যের মধ্যেই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এই আমদানী করা মাছের। তবে ইলিশের আকার একটু বড় হলে দামও একটু বেশিই পড়েছে।
এই দামের কারণে নাকি অনেকেই ভাগে ইলিশ মাছ কিনছেন এবং অনেক ক্ষেত্রেই সেই সংখ্যা নাকি তিনের বেশিও দেখা গেছে! ভারতীয় এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে কোলকাতার দমদম-পাতিপুকুর বাজারের ইলিশ মাছের দামের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয় যে, মঙ্গলবার বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ইলিশের মধ্যে এক টনই গেছে ওই বাজারে। সেখানে বড়ো একটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ রুপিতে। এছাড়াও ছোট একটি ইলিশ সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ৮০০ হতে ৯০০ রুপিতে।
কোলকাতার গণমাধ্যম এই সময় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, গতকাল ২০ টন পদ্মার ইলিশ ঢুকেছে সেখানে। আগামী এক মাস ওপার থেকে এপারে লরি লরি ইলিশের আমদানি হবে বলেই পেট্রাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানানো হয়েছে। এবার সব মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার টন ইলিশ কোলকাতায় পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
এইদিন সন্ধ্যায় পেট্রাপোল সীমান্তে ইলিশভর্তি গাড়ি ঢুকতে আমদানি এবং রফতানির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী তো বটেই, সাধারণ মানুষের অনেকের মুখেই হাসি ফুটেছে রসনাতৃপ্তির অভিলাষ পূরণের আশায়।
তবে ভোজনরসিক বাঙালি এবং পদ্মার ইলিশের মধ্যে ব্যবধান হয়ে দাঁড়াতে পারে উচ্চ মূল্য- এমন আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এমনিতেই করোনা পরিস্থিতি এবং দীর্ঘ লকডাউনের জেরে সাধারণ নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের একটা বড় অংশের আর্থিক অবস্থা প্রাক-কোভিড পরিস্থিতির কারণে বেশ নাজুক। এই অবস্থায় পদ্মার ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া হলেও কজনই বা তার স্বাদ নিতে পারবেন, সেটিই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর দুর্গা পূজার আগে উপহার হিসেবে বাংলাদেশ সরকার ৫০০ টন ইলিশ পাঠাতে রাজি হয়। তারপর প্রায় এক বছর কেটে গেছে, ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর দিয়ে ইলিশের কোনো রফতানিই হয়নি। সেই অচলাবস্থার অবসান ঘটেছে। এ বছর ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রফতানির সময়-সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।