দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নারকেল উৎপাদনে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার অবস্থান হলো বিশ্বে ৪ নম্বরে, তবু সেখানকার বাজারে এই ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে এর প্রকৃত কারণ বোঝাতে সোজা নারকেলগাছে উঠে পড়লেন দেশটির নারকেলমন্ত্রী অরুণদিকা ফার্নান্দো।
গাছে বসেই তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। মন্ত্রী জানান যে, স্থানীয় শিল্প এবং ঘরোয়া বাজারে এই নারকেলের চাহিদা বহুগুণ বেড়ে গেছে, যে কারণে বর্তমানে শ্রীলঙ্কাজুড়ে ৭০ কোটি নারকেলের ঘাটতিও দেখা দিয়েছে।
শ্রীলঙ্কার নারকেলমন্ত্রী অরুণদিকা ফার্নান্দোকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজ ফার্স্ট লিখেছে যে, যেসব জমি পড়ে রয়েছে, সেগুলোতে যাতে করে নারকেল চাষ করা যায়, সে জন্যই সরকার সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে নারকেলজাত শিল্পের উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। এই শিল্পের উন্নতির মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনও করা যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পরিসংখ্যান বলছে যে, সাম্প্রতিক সময় শ্রীলঙ্কায় নারকেলের উৎপাদনে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি হতে জুন মাস পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ৬ মাসে ১৩৬.৭ কোটি নারকেল উৎপাদন হয়েছে, যা গত বছরের ওই সময়ের তুলনায় অন্তত ১৩.৬ শতাংশ কম। একদিকে যেমন উৎপাদন কমে যাওয়া, অপরদিকে চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দেশটিতে নারকেলের দাম এখনও আকাশছোঁয়া, যে কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে।
আর তাই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশটির সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার নারকেলমন্ত্রী। খুব দ্রুত এর দাম কমবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। কবে আবার নারকেলের দাম কমে তা সময়ই বলে দেবে। তবে মূল্যবৃদ্ধির কারণ বোঝাতে স্বয়ং মন্ত্রী যেভাবে গাছে উঠে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তা দেখে ভীষণ খুশি শাসক দলের কর্মী এবং সমর্থকরা। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।