দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের স্থানে রামমন্দির হচ্ছে। আগের জায়গা হতে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সরে যাবে ‘বাবরি’ মসজিদ। তবে অযোধ্যার মসজিদ হবে কাবা শরিফের আদলে!
ধন্নিপুর নামক একটি জায়গায় নির্মিতব্য মসজিদটির লোগোও ইতিমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে। নির্মাণ কাজও এগিয়েছে কিছুটা। তবে মসজিদটির নাম কী হবে ও সেটা দেখতে কেমন হবে, তা নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা চলছে স্থানীয় মুসলমানদের মধ্যে।
মসজিদ তৈরির দায়িত্বে রয়েছে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট নামে একটি সংস্থা। ট্রাস্টের সম্পাদক এবঙ মুখপাত্র আতাহার হুসেইন জানিয়েছেন যে, মক্কার কাবা মসজিদের আদলেই তৈরি করা হবে এই মসজিদটি।
আতহার হুসেইন জানিয়েছেন, মসজিদের প্রথাগত আদলের বাইরে গিয়ে এটি নির্মাণ হবে। সেক্ষেত্রে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে অবস্থিত পবিত্র কাবা শরিফের আদলে মসজিদটি নির্মাণের সম্ভাবনা রয়েছে।
২০ সেপ্টেম্বর ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আতহার জানিয়েছেন, নতুন মসজিদটি কোনও সম্রাট কিংবা বাদশাহের নামে নামকরণ করা হবে না।
রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ নিয়ে শতাব্দী প্রাচীন বিবাদের আইনি ইতি টানতে ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয় যে, অযোধ্যার বিতর্কিত ওই ২ দশমিক ৭৭ একর জমিতে গড়ে তোলা হবে রাম মন্দির। অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাবরি মসজিদের জন্য বরাদ্দ করা হবে ৫ একর জমি। মন্দির ও মসজিদ নির্মাণে হিন্দু এবং মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের পৃথক দুটি সংস্থাকেও দায়িত্ব দেয় আদালত।
রায় অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট গত আগস্টে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে শুরু করে রাম মন্দির নির্মাণ। অপরদিকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যার ধন্নিপুর গ্রামে ৫ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেখানে মসজিদ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করতে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন নামে একটি ট্রাস্টও গঠন করেছে উত্তর প্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড।
ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র আতহার হুসেইন জানিয়েছেন, ধন্নিপুর গ্রামে নির্মাণ করা হবে ১৫ হাজার বর্গফুটের বিশার মসজিদ। এটি বাবরি মসজিদের আকারের সমানই হবে।
তিনি আরও বলেন, মসজিদটির আদল হবে অন্য মসজিদগুলো থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা। স্থপতি এসএম আখতার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এটির আদল মক্কার কাবা শরিফের মতো বর্গাকৃতিরও হতে পারে।
কাবা শরিফের মতো ধন্নিপুরের মসজিদটিও গম্বুজ ও মিনার ছাড়াই নির্মাণ হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আতহার হুসেইন বলেছেন যে, সেটি একটি সম্ভাবনা হতে পারে। এই বিষয়ে স্থপতিকে পূর্ণ স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে।
ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র আতহার হুসেইন বলেছেন, তবে মসজিদটির নাম বাবরি মসজিদ হবে না। কোনও বাদশাহ বা সম্রাটের নামেও এটির নামকরণ করা হবে না। আমার ব্যক্তিগত মত হলো এটিকে ধন্নিপুর মসজিদ নাম দেওয়ায় উচিত হবে।
মসজিদ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে জাদুঘর, হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলেও জানিয়েছেন আতহার হুসেইন। সেজন্য অনুদান সংগ্রহের উদ্দেশে ফাউন্ডেশনের নিজস্ব ওয়েবসাইট বানানোর কাজও চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই ওয়েবসাইটে ভারতের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের লেখা থাকবে বলেও জানিয়েছেন আতহার হুসেইন।
তিনি বলেছেন যে, পোর্টালের কাজ এখনও কিছুটা বাকি রয়েছে, সে কারণে অনুদান সংগ্রহ শুরু করা এখনও সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য যে, অযোধ্যার বাবরি মসজিদটি ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী ‘করসেবকেরা’ ভেঙে ফেলে। তাদের দাবি ছিলো, ওই স্থানেই নাকি ছিলো প্রাচীন রাম মন্দির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।