দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৪৯ বছর বয়সে ১৫০ সন্তানের বাবা হয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনৈক ব্যক্তি। শুধুমাত্র লকডাউনেই ৫ সন্তানের ‘পিতা’ হয়েছেন তিনি। ওই ব্যক্তির নাম জো।
কিভাবে এতো কম সময়ে এতোগুলো সন্তানের বাবা হলেন তিনি? জানা যায়, আমেরিকা, ইতালি, আর্জেন্টিনা, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশে গিয়ে স্পার্ম ডোনেট করেন জো। এই সিস্টেমটি বর্তমানে অনেক দেশেই আইনসিদ্ধ কাজ। ২০০৮ সালে তিনি এই কাজটি শুরু করেন। এতোদিন তিনি যে ১৫০ জনকে স্পার্ম দিয়েছেন তাদের মধ্যে অর্ধেক নারীকেই দিয়েছেন কৃত্রিমভাবে। বাকিদের সরাসরি স্পার্ম ডোনেট করেছেন জো। এদের মধ্যে অনেক নারীই আবার বিবাহিত, তবে তাদের স্বামীরা ‘নিস্ফল’ অর্থাৎ সন্তানের বাবা হতে অক্ষম ছিলেন। নি:সন্তান দম্পতিদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোকে জো মনে করেন এক মানবিক সাহায্য।
বলা যায় রুপালি পর্দার ভিকি ডোনারের মতোই এটাও এক স্পার্ম ডোনারের গল্পই। করোনা বা লকডাউনও তাকে আটকাতে পারেনি। এই মহামারীর মাঝেও কাজ চালিয়ে গিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই বিখ্যাত স্পার্ম ডোনার। বিখ্যাত এই কারণে আর তা হলো তিনি এখন এই স্পার্ম জগতের যেনো এক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিগণিত হয়েছেন। কারও সন্তান না হলেই ডাক পড়ে তার।
জো জানিয়েছেন, লকডাউনেও তিনি থেমে থাকেননি। করোনা তথা লকডাউনের সময় তিনি ৬ জনকে স্পার্ম ডোনেট করেছেন। তাদের মধ্যে ৫ জন বর্তমানে গর্ভবতী। একজন ইতিমধ্যেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তাকে জো স্পার্ম দিয়েছিলেন গত বছরের শেষের দিক।
জো জানিয়েছেন যে, ২০২০ সালে ১০ জন নারীকে স্পার্ম ডোনেট করবেন। তাদের মধ্যে ৫ জনকে ইতিমধ্যে স্পার্ম দিয়েছেন। তারা বর্তমানে সকলেই গর্ভবতী। এই সপ্তাহেই আরও ৫ জনকে স্পার্ম দেওয়ার জন্য বর্তমানে তিনি লন্ডনেই অবস্থান করছেন।
জো লকডাউনের পুরো সময়টাই আর্জেন্টিনায় অবস্থান করছিলেন। সেখানে তিনি কয়েকজন নারীকে স্পার্ম দিতে গিয়েছিলেন। তবে তিনি সেখানে গিয়ে লকডাউনে আটকে পড়েন।
জো বলেছেন, “সারা বিশ্বের ১৫০ শিশুর বাবা আমি। চলতি বছরে আমার ডোনেট করা স্পার্মে অন্তত ১০ জন নারী গর্ভবতী হয়েছেন। একটি শিশু দিন কয়েক আগে জন্মগ্রহণও করেছে। করোনার কারণে আমি একটু স্লো হয়েছিলাম বটে! তবে একেবারে থেমে যাইনি।”
তিনি আরও বলেছেন, “সন্তানদের জন্মাতে দেখলে আমার খুবই ভালো লাগে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখি আমার চেহারার সঙ্গে ওদের চেহারার মিলও রয়েছে।”
জো জানিয়েছেন যে, “এই কাজটি সত্যিই ঝুঁকিপূর্ণ। নানা ধরনের যৌনবাহিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সে কারণে তিনি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। যদি কোনও নারী স্পার্ম নেওয়ার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বলেন, তবে তিনি তাও করান।”
তথ্যসূত্র: মিরর
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।