দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবার মহাকাশে দুর্লভ গ্রহের সন্ধান পেলো। সম্প্রতি প্ল্যানেটারি সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে এই বিশেষ গ্রহাণুর সন্ধান পাওয়া গেছে।
পৃথিবী হতে এটি ৩৭০ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এই গ্রহটির আকার ২২৬ কিলোমিটারের মতো। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার এলাকা যতোটা, ঠিক ততোটা বড় এই গ্রহাণুটি। তবে এই গ্রহাণুর বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আসলে এর আকার নয়, বরং এটি যা দিয়ে তৈরি হয়েছে, সেই ধাতব উপাদানগুলো। বেশিরভাগ গ্রহাণু যেমন পাথর কিম্বা বরফের দ্বারা তৈরি হয়ে থাকে, এটি কিন্তু তেমনভাবে তৈরি নয়। এটি তৈরি হয়েছে বিশেষ কয়েকটি ধাতব পদার্থ দ্বারা।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, সাধারণত দেখা যায় যে, কোনও একটি গ্রহাণুতে অন্য অনেক পদার্থের মধ্যেই বহুমূল্য ধাতব বস্তু লুকিয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে ঘটনাটি একেবারেই পৃথক। এই গ্রহাণুর ক্ষেত্রে পুরোটাই তৈরি হয়েছে ধাতব বস্তু দিয়ে। এই ধাতবটিতে রয়েছে নিকেল এবং লোহা। সে কারণেই এখানে জমা ধাতবকৃত বস্তুর দাম হতে পারে প্রায় ১০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ মার্কিন ডলার।
যা সারা পৃথিবীর অর্থনৈতি হতে ১০ হাজার গুণ বেশি। হাবল টেলিস্কোপের স্পেস টেলিস্কোপ ইমেজিং স্পেক্টোগ্রাফ-এর সাহায্যে ২০১৭ সালে আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি ব্যবহার করে এই গ্রহাণুর উপাদান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছিলো।
আশ্চর্যজনকভাবে দেখা যায়, এই গ্রহাণুর পৃষ্ঠটির পুরোটাই লোহার তৈরি। মনে করা হচ্ছে যে, কোনও মতো গ্রহের একেবারে ভিতরের অংশ এটি। একাধিক মহাজাগতিক সংঘর্ষের কারণে এটির চেহারা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকগুলো মহাজাগতিক সংঘর্ষ একে প্রকৃতপক্ষে আকারে অনেক ছোট করে দিয়েছে।
নাসা ইতিমধ্যেই এই রহস্য ভেদ করার কাজ শুরু করে দিয়েছে। ২০২২ সালে নাসার যান পাড়ি দেবে মহাকাশে। সেটি মূলত সাইকি গ্রহাণুর তত্ত্ব তালাশ করবে। স্পেস এক্স ফ্যালকম হেভি রকেটের মাধ্যমে এটিকে মহাকাশে পৌঁছে দেওয়া হবে মহাকাশেই। ধারণা করা যাচ্ছে যে, ২০২৬ সালের মধ্যে এই গ্রহাণুতে নাসার মহাকাশ যান পৌঁছে যাবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।