দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এলেক্সিজ সানচেজের বদলী হিসেবে ৭৮ মিনিটে মাঠে নেমে বার্সেলোনা দলের হয়ে ইউরোপীয় ফুটবলে অভিষেক ঘটলো ১১ নম্বর জার্সিধারী নেইমারের। ম্যাচটি অবশ্য বার্সেলোনা ২-২ গোলে শেষ করেছে লেচিয়া গদানস্ক ক্লাবের বিপরীতে। ৫৭ মিনিয়ন ইউরো খরচ করে বার্সেলোনায় আসা নেইমার মাঠে নামতে পেরে খুশি হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে। অবশ্য ম্যাচটি জিততে পারলে খুশি আরও বেশী হতো বলেও জানিয়েছেন তিনি। নেইমারকে উষ্ণ অভর্থ্যনা জানিয়েছেন মেসি এবং জাভিও।
অতিরিক্ত মিনিটসহ সব মিলিয়ে মাঠে শেষ পনের মিনিট ছিলেন নেইমার। নেইমারকে কেনো আগে নামানো হলো না এনিয়ে ক্লাবের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও, ধারণা করা হচ্ছে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের শারীরিক ফুটবল কৌশলের কারণেই শুরুতেই নেইমারকে মাঠে নামিয়ে ইঞ্জুরিতে ফেলতে চায়নি বার্সা। তবে পনের মিনিট নেইমার যে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে খেলেছেন সেটা মাঠে তার শরীরের ভাষা দেখেই বোঝা গেছে। নেইমার এদিন পরিপূর্ণ পাঁচটি পাস, চারটি কিক, চিরাচরিত কিছু ম্যাজিক মুভমেন্ট এবং বাঁপায়ে ব্যাকহিল দিয়ে একটি নজড়কাড়া পাস দিয়েছেন।
খেলা শেষে মাঠেই সতীর্থরা নেইমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে নেইমার বলেন, “আমার অভিষেক কেমন হলো? এক কথায় স্বপ্ন সত্যি হয়ে এসেছে, আর এতে আমি খুবই খুশি। তবে মেসি’র সাথে খেলতে পারলে নিজেকে আরও ভাগ্যবান মনে করতাম। তবে ইতিমধ্যেই তার সাথে ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করার সৌভাগ্য হয়েছে। তাকে আমি আমার আইডল বলে মানি এবং সে খুবই চমৎকার একজন মানুষ!”
নেইমারের পরবর্তী খেলা আগস্টের ২ তারিখ সান্তোষের বিপক্ষেই, যে ক্লাব থেকে তিনি বার্সায় এসেছেন। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে নেইমার পেশাদার খেলোয়াড়ের মতোই উত্তর দেন, “এটা কিছুটা অন্যরকমই হবে এতো জলদিই নিজের পুরোনো ক্লাবের বিপক্ষে খেলা, কিন্তু আমি এখন বার্সেলোনা দলে আছি। যাদের বিপক্ষেই খেলতে নামি এই জার্সিটার প্রতি নিজের সবটুকুই উজাড় করে দেবো।”
এদিকে নেইমারের বার্সেলোনা দলের হয়ে খেলতে পারাটাকে ভাগ্য নির্ধারিত বলেছেন বার্সার মাঝমাঠ খেলোয়াড় জাভি। তিনি বলেছেন, “নেইমারের বার্সায় খেলাটা পূর্বনির্ধারিতই ছিলো। একেতো সে নিজে দারুণ খেলোয়াড়, তার ওপর বার্সায় এসে পাচ্ছে মেসিসহ আরও অনেক সহযোগী মনোভাবাসম্পন্ন সতীর্থ। সবার আন্তরিকতায় নেইমার বার্সেলোনার জন্য ভিন্ন কিছু সাফল্যই বয়ে আনবে বলে আমার বিশ্বাস। বিশেষ করে নিজ নিজ জায়গায় উন্নতি অব্যাহত রাখলে নেইমার-মেসি বিশ্বের সবচেয়ে আগ্রাসী জুটি হবে। সেরা খেলোয়াড়েরা কাছাকাছি থাকতেই পছন্দ করে। আমি এও জানি মেসি পাশে খেলতে নেইমার যতোটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে, মেসিও ঠিক ততোটাই। দলের জন্য আমরা তাকে গড়ে তুলতে সাহায্য করবো, যাতে করে সে তার দেশের পক্ষেও জ্বলে উঠতে পারে।”
ফ্যাব্রিগাসকে বার্সা বিক্রি করে দিচ্ছে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে জাভি বলেন, “এসব শুধুই গুজব। আসছে মৌসুমেই ফ্যাব্রিগাসকে আবার সবাই নিয়মিত দেখতে পাবেন মাঠে। এখন সে বিশ্রামে আছে, আর সে এখনও বার্সার সাথে চুক্তিবদ্ধ আছে।”
তথ্যসূত্রঃ গোলডটকম