দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হতাশার জন্য দায়ী এক ধরনের প্রোটিন শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন লন্ডনের গবেষকরা। আর এ গবেষণা মানব সভ্যতার একটি বিশেষ উপকারে আসবে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।
অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও হতাশার জন্য দায়ী এক ধরনের প্রোটিন শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন লন্ডনের গবেষকরা। এ প্রোটিন মস্তিষ্কে পিটুইটারি গ্রন্থির হরমোন নিঃসরণ ঘটিয়ে হতাশার সৃষ্টি করে। প্রোটিনটি শনাক্তের ফলে হতাশা নিয়ন্ত্রণে নতুন ওষুধ আবিষ্কারের পথ তৈরি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
লন্ডনের হার্টফোর্ডশায়ারভিত্তিক একটি ওষুধ কোম্পানির সহযোগিতায় পরিচালিত এক গবেষণায় মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থির বহির্ভাগে থাকা এ প্রোটিন শনাক্ত করা হয়। গবেষকরা ডায়মন্ড লাইট সোর্স নামে এক ধরনের শক্তিশালী এক্স-রে মেশিন ব্যবহার করে প্রোটিনটির গঠনসহ কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করেন। গবেষকরা দেখেন, সিআরএফ১ নামের ওই প্রোটিনটি মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ করে, যার ফলে মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়।
গবেষক ফিওনা মার্শাল বলেন, ‘আমরা প্রোটিনটির গঠন নিয়ে কাজ করছি। এতে বোঝা যাবে, এটি কীভাবে কাজ করে। প্রোটিনটির কাজের ধরন বুঝে তা নিয়ন্ত্রণের পথ বের করা সহজ হবে। আর এতে হতাশা রোধে ওষুধ তৈরি করাও সম্ভব হবে।’ গবেষণা নিবন্ধটি নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। সূত্র : জিনিউজ ও পিটিআই।