দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ক্ষমতার একেবারে শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপরও নানা ঘটনা তাকে যেনো তাড়া করে ফিরছে। এবার এমনই এক ঘটনা হলো সমুদ্র-গাভীর পিঠে দেখা গেলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম!
বিপন্ন প্রজাতির একটি সমুদ্র-গাভীর পিঠে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বন্যপ্রাণী বিষয়ক কর্তৃপক্ষ। গত রবিবার ফ্লোরিডার হোমোসাসা নদীতে পাওয়া যায় ভুক্তভোগী ওই প্রাণীটিকে।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, বিপন্ন প্রাণী মানাতি বা যাকে বলা হয়ে থাকে সমুদ্র-গাভী যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সংরক্ষিত একটি প্রাণী। এদের যে কোনোভাবে জ্বালাতনের প্রমাণ পাওয়া গেলেই এক বছরের কারাদণ্ড, পাশাপাশি ৫০ হাজার ডলার জরিমানা করার বিধান রয়েছে দেশটিতে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, ফ্লোরিডার নদীতে পাওয়া সমুদ্র-গাভীটিকে গুরুতর আহত বলেও মনে হয়নি। তার পিঠে ট্রাম্পের নাম লেখা হয়েছিল মূলত শরীরে জমে থাকা শেওলার ওপর আঁচড় কেটেই।
তারপরও ওই প্রাণীটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর হতেই চলে আসছে ব্যাপক সমালোচনা। প্রেসিডেন্টের নাম লেখা সমুদ্র-গাভীর ছবি প্রথমে প্রকাশ করে সিট্রাস কাউন্টি ক্রনিকেল নামে একটি স্থানীয় পত্রিকা। তারপর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অন্য মাধ্যমগুলোতে।
সমুদ্র-গাভীকে ট্রাম্প-সমর্থকদের জ্বালাতনের বিষয়টি নজরে আসার পর তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মৎস্য এবং বন্যপ্রাণী বিভাগ (ইউএসএফডব্লিউএস)।
এছাড়াও সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি নামে একটি দাতব্য সংস্থা ওই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তির তথ্য দিলে ৫ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
স্থূলাকার সমুদ্র-গাভীর গড় ওজন প্রায় ৪৫০ কেজি। ধীরেসুস্থে চলাচলকারী ওই প্রাণীটির সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। সে কারণে তাদের বাসস্থান ধ্বংস, শেওলার প্রকোপ ও দ্রুতগামী নৌযান বৃদ্ধিকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফ্লোরিডার মৎস্য ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষা কমিশনের তথ্যমতে জানা যায়, ২০২০ সালে রাজ্যটিতে অন্তত ৬৩৭টি সমুদ্র-গাভী মারা যায়। যার মধ্যে ৯০টিই প্রাণ হারিয়েছে নৌকার সঙ্গে আঘাত লেগে, আরও ১৫টি প্রাণীর মৃত্যুর সঙ্গেও মানুষের যোগসূত্র রয়েছে।
ইউএসএফডব্লিউএসের হিসাব মতে, বর্তমানে ফ্লোরিডায় ৬ হাজার ৩০০টির মতো সমুদ্র-গাভী রয়েছে। কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই সমুদ্র-গাভীকে ওই রাজ্যটির মাস্কট মনে করা হয়ে থাকে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।