দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনের স্বায়ত্তশাসিত জিনজিয়ান প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের শেষ করে দেওয়ার এক পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটির কমিউনিস্ট সরকার। হত্যা-নির্যাতনের পাশাপাশি পুরুষদের দাস বানানো ও নারীদের ‘পদ্ধতিগত গণধর্ষণ’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে গতকাল (বুধবার) প্রকাশিত বিবিসির দীর্ঘ এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে আসে। উইঘুর ক্যাম্পের পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ এবং বিস্তারিত বিবরণের ভিত্তিতে এটি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয় যে, ‘পুনঃশিক্ষণ’ নামের বন্দিশিবিরে উইঘুর নারীদের ওপর যৌন নিপীড়ন এবং নির্মম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। উইঘুরদের সবাইকে শেষ করে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘পদ্ধতিগত গণধর্ষণ’ও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে।
তুরসুনায়ে জিয়াউদুন নামে একজন উইঘুর নারী বিবিসিকে বলেছেন, এলাকাটিতে যারা (চীনা পুরুষ) শাসন করছেন তাদের উদ্দেশ্যই হলো সবাইকে শেষ করে দেওয়া। শিবিরগুলোতে পরিকল্পনা করেই প্রতিনিয়ত নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে।
খবরে আরও বলা হয়, তুরসুনায়ে জিয়াউদুন নামে একজন উইঘুর নারী। তিনি গত মঙ্গলবার মুক্তির পর জিনজিয়াং হতে পালিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলে আসেন। বিবিসিকে তুরসুনায়ে জিয়াউদুন জানিয়েছেন, প্রতি রাতে নারীদের কক্ষ থেকে একজন করে নিয়ে যায় চীনারা। তাদের শরীরে কোনো রকম ইউনিফর্ম থাকতো না। মুখোশ পরে তারা ঘরে ঢুকে পড়তো। একাধিক মুখোশধারী চীনা পুরুষ তাকেও ধর্ষণ করেছে। তাকে অকত্য নির্যাতন করা হতো। এমনও দিন গেছে যে, জিয়াউদুনকে দিনে তিনবার কয়েকজন পুরুষ গণধর্ষণ করতো।
চীনা পুরুষরা মুখোশ পরে থাকতো সবসময়। কারণ হলো তারা কখনও পরিচয় প্রকাশ করতে চাইতো না। কেনোনা, তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হতে পারতো। অন্যান্য নারীদের নির্যাতনের ব্যাপারেও জিয়াউদুন কথা বলেছেন বিবিসির সঙ্গে। তিনি বলেছেন, মধ্যরাতের কিছু পরে চীনারা তাদের পছন্দের নারীদের বেছে নিয়ে করিডোরে থাকা একটি কালো কক্ষে তারা নিয়ে যেতো। সেখানে কোনো রকম সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। কোনো নজরদারীও থাকতো না। রাতের পর রাত ধর্ষণ, গণধর্ষণ চলতো তারা। তাকেও ওই কালো কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
জিনজিয়াং থেকে আসা জিয়াউদুন আরও বলেন, এটি চিরকাল আমার জীবনের কালো অধ্যায় হয়েই থাকবে। এই শব্দগুলো আমি আর নিজের মুখে কখনও বলতে চাই না। বিবিসিকে এই উইঘুর নারী জানিয়েছেন, তিনি যে নির্যাতন বন্দী শিবিরগুলোতে দেখেছেন, তাকে যদি জিনজিয়াংয়ে ফিরতেই হয়; এসব তথ্য প্রকাশের কারণে তাকে হয়তো আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
জিনজিয়াংয়ের হতে আসা আরেক কাজাকাস্তান নারী এই বিষয়ে বিবিসিকে বলেছেন, চীনা বন্দী শিবিরগুলোতে নারীদেরকে নগ্ন করে রাখা হতো। তাদের হাতকড়া পরিয়েও রাখা হয়। তাকে ১৮ মাস ধরে আটকে রাখা হয়।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে যে, চীন সরকার ধীরে ধীরে উইঘুরদের ধর্মীয় এবং অন্যান্য স্বাধীনতাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। এমনকি সেখানে গণ নজরদারি, আটক, ধর্ষণ-গণধর্ষণ, নির্যাতন একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।