দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হতাশা এমন একটি জিনিস যা মানুষকে একেবারে গ্রাস করে ফেলে। তাই হতাশা হতে দূরে থাকা আমাদের একান্ত প্রয়োজন।
মারাত্মকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত অনেকের ফুসফুসেই তরল পদার্থ জমে থাকে। এসব মানুষ মাঝে মাঝে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান। এই ধরনের অনুভূতিরও সম্মুখীন হন। বৃটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় এমন সব তথ্য উঠে এসেছে।
বৃটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের গবেষক ড. মাইক ন্যাপটন বলেছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত অনেক লোক বিভিন্ন ওষুধের কারণে হার্টস্ট্রোক হতে বেঁচে যান তবে এটি তাদের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে ফেলে দেয়, যা তারা জানেনও না। যে কারণে মানুষের ফুসফুসে তরল পদার্থ জমতে পারে-যা মানুষকে মাঝে-মধ্যেই শ্বাসরুদ্ধ করে দেয়, এমনকি ওই সময় চেয়ার বা বিছানায় শুয়ে থাকলেও ওঠার শক্তি পর্যন্ত তারা পান না।
আসলে মানুষের হৃদযন্ত্রের কোষগুলো পুনরুৎপাদন করা যায় না। স্টেমসেল গবেষণার মাধ্যমে এই বিষয়ে গবেষণা করলে উল্লেখযোগ্য আগ্রগতি হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন ড. মাইক ন্যাপটন।
গবেষণায় দেখা যায় যে, ৮০ শতাংশ মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর এর প্রভাব সম্পর্কে একেবারেই অসচেতন। বৃটেনে হৃদরোগে আক্রান্ত মোট সাড়ে ৭ লাখ মানুষ রয়েছেন। এসব মানুষের হৃদযন্ত্র এবং শরীরের সবস্থানে স্বাভাবিকভাবে রক্ত চলাচলও করতে পারে না, যা হার্টস্ট্রোকের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা যায়।
২ হাজার ১৭০ জনের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা যায় যে, তাদের মধ্যে ৩৩ শতাংশ মনে করেন যে, হার্টস্ট্রোকে মনে হয় হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, ৩৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন, হৃদযন্ত্রে কোনো রকম সমস্যা হলেও তা নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।