দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের অনেকেরই সঠিকভাবে হাঁটা বা দাঁড়ানোর অভ্যাস গড়ে ওঠেনি। তবে একটু লক্ষ্য করলে এই ভুলগুলো হতে বেরিয়ে আসা সম্ভব।
হাঁটার বিষয়টিকে অনেকেই সাধারণ একটি কাজ হিসেবে ধরলেও সঠিকভাবে হাঁটার বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে সকলের কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা উচিত। টাইমস অব ইন্ডিয়ার তথ্য অবলম্বনে সঠিকভাবে হাঁটার বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে।
সোজা হয়ে হাঁটুন
সামনে বা পেছনে ঝুঁকে মোটেও হাঁটা উচিত নয়। সঠিকভাবে এবং সোজা হয়ে হাঁটুন। একটি গাছকে আপনি কল্পনা করুন। পেছনে বা সামনে নয়, আপনি উঁচু হয়ে দাঁড়ান।
আপনার চোখের দৃষ্টি
হাঁটার সময় আপনার চোখের দৃষ্টি রাখুন ১৫ ফুট সামনে। সোজা হয়ে দাঁড়ানোর জন্য মাথা পাশে ঝুঁকবেন না। এতে করে আপনার মাংসপেশির কার্যকারিতাও ঠিক থাকবে। বুক সামনে, কাঁধ পেছনে বুক সামনে ও কাঁধ পেছনে রাখুন। হাঁটার সময় আপনার কাঁধ যেনো অন্য কোনো দিকে না থাকে। এতে করে আপনার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হবে।
বাহু কিভাবে রাখবেন
আপনার বাহু রাখতে হবে দুই পাশে সুবিন্যস্তভাবে। হাঁটার সময় এগুলো সামনে এবং পেছনে সমানভাবেই নড়াচড়া করবে। এতে করে আপনার দেহের ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই সহজ হবে।
হাতের তালু
হাতের তালু কখনও শক্ত করে ধরা উচিত নয়। আবার ডানে-বায়েও রাখা উচিত নয়। এক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম হলো এটি আলতো করে অর্ধখোলা অবস্থায় রাখা। অনেকটা একটি ডিম হাতে ধরে রাখার মতো করে। জোরে ধরলে সেটি ভেঙে যাবে। আবার অসতর্ক হলে হাত থেকে পড়ে যেতে পারে।
পেটের মাংসপেশি
পেটের মাংসপেশি দেহের ভারসাম্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি পেটের মাংসপেশি যেনো টাইট থাকে সেদিকে মনোযোগী হতে হবে।
টাইট থাই
হাঁটার সময় থাই কিছুটা শক্ত করে নিতে হবে। দেহ ছেড়ে দিয়ে নয় বরংচ টাইট করে রাখুন।
পা
হাঁটার সময় পায়ের পাতার সম্মুখের অংশ কখনও আগে মাটিতে ফেলবেন না। আগে পায়ের গোড়ালি ফেলুন তারপর বাকি অংশ। তবে পা উঠিয়ে নেওয়ার সময় পায়ের পাতা সবার শেষে ওঠাতে হবে।
হাত নড়াচড়া
হাঁটার সময় কখনও হাত বেশি সামনের দিকে নেবেন না। এক্ষেত্রে অবশ্য পেছনের দিকে নিতে কোনো অসুবিধা নেই।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।