দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গতরাতে পালিত হয়ে গেলো পবিত্র লাইলাতুল কদর। ধর্মপ্রাণ প্রতিটি মুসলমানের কাছে এই রাত ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
২৬ রমজানের দিবাগত রাত অর্থাৎ ২৭-এর রাতে আমরা পালন করি এই পবিত্র রজণী হিসেবে। রমজান মাসে এই লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। তাই এই রাতের মর্যাদা হাজার মাসের চেয়েও বেশি, পবিত্র কোরআনেই তা বলা আছে। যদিও পবিত্র কোরআন নাজিলের তারিখটি পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। কারণ রমজানের শেষের দশ দিনের বেজোড় রজণীকে এই পবিত্র দিন হিসেবে বলা হয়েছে। যেমন ২১, ২৩, ২৫, ২৭ বা ২৯। তবে হাদিস শরীফ ও কোরআনের অন্যান্য বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে মোটামুটিবাভে নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ এর এই রজণীকে। সেই হিসেবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই রাতে ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে পার করেন।
লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বাণী দিয়েছেন। পৃথক বাণীতে তাঁরা দেশ ও বিশ্বের সব মুসলমানের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
লাইলাতুল কদরের মর্যাদার কথা পবিত্র কোরআনের সুরা কদরে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এই রাতে মহান আল্লাহর নির্দেশে ফেরেস্তারা ভোর পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালার রহমত, দয়া ও কল্যাণ বর্ষণ করবেন।
মহিমান্বিত এই রাত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিশেষ নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, মিলাদ মাহফিল, আলোচনাসহ নানামাত্রিক ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত করে থাকেন। তাঁরা বিশেষ মোনাজাতে আল্লাহর রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের প্রার্থনা করেন।
এ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়। এখানে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ আলোচনা ও মিলাদ। তারাবির জামাতের পর ওয়াজ করেন খতিব প্রফেসর মাওলানা সালাহ উদ্দিন। রাজধানীসহ সারা দেশে মসজিদে মসজিদে অনুরূপভাবে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন মুসল্লিরা।
বিভিন্ন মসজিদে যাঁরা ইতিকাফে বসেন, তাঁরা ২০ রমজান থেকেই লাইলাতুল কদরের তালাশে রাত জেগে ইবাদত শুরু করেন। বিশেষ করে বেজোড় তারিখগুলোতে।
আর এভাবেই ইবাদত বন্দেগীর মধ্যদিয়ে পালিত হলো পবিত্র লাইলাতুল কদর। এ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি।