দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য মহিমান্বিত ও ফজিলতপূর্ণ পূণ্যময় রাত হলো লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত। আজ সেই মহিমান্বিত রজনী।
আজকের এই পবিত্র লাইলাতুল বরাতে নীহিত রয়েছে মুমিনের জন্য সীমাহীন বরকত, মুক্তি ও কল্যাণ। ফজিলতপূর্ণ মহিমান্বিত পবিত্র শবে বরাত আসে মাহে রমজানের পূর্বের মাসে অর্থাৎ শাবান মাসে হওয়াতে এর গুরুত্ব এবং তাৎপর্য মুমিন মুসলমানদের নিকট অনেক বেশি দামি। রমজানের মাত্র দুই সপ্তাহ আগের এই পবিত্র রজনী মুসলমানদের জন্য এক সুখবরের বার্তা বয়ে নিয়ে আসে।
শবে বরাত ফারসি শব্দ। শবে অর্থ রাত ও বরাত অর্থ মুক্তি বা ভাগ্য। যাকে আরবিতে লাইলাতুল বরাত বলা হয়। যার মূল অর্থ হলো সৌভাগ্যের রজনী বা মুক্তির রজনী। চন্দ্র মাসের অষ্টম মাস হলো এই শাবান মাস। শাবানের চাঁদে এমন একটি ফজিলত এবং বরকতময় রাত আছে সে রাতে ইবাদত-বন্দেগী করলে সীমাহীন সওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়। এই রাতটিই হলো লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত।
এই বিষয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এরশাদ করেন, শাবান মাস হলো আমার মাস, রমজান মাস হলো আল্লাহতায়ালার মাস। শাবান মাসের ১৪তম তারিখের দিবাগত রাতই হলো লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত। গোনাহ হতে মুক্তি লাভের এক অনন্য রাত হলো এই শবে বরাত। এই পবিত্র রাতে ইবাদত করার কারণে মুমিন মুসলমানদের গোনাহ মাফ হয়ে থাকে। মহান আল্লাহর কাছে মুমিনের মর্যাদা বৃদ্ধি হয়ে থাকে।
রাসুল (স.) আরও বলেন, শাবান মাসের রোজা আমার নিকট অন্য মাসের তুলনায় অধিক প্রিয়। তোমাদের নিকটে যখন শাবানের রাত (শবে বরাত) উপস্থিত হবে তখন তোমরা সে রাতে জাগ্রত থাকো, নামাজ পড়, কোরআন পড়, যিকির আযকার তাসবিহ পড়, দোয়া কর ও দিনের বেলা রোজা রাখো। কারণ হলো এই রাতে আল্লাহতায়ালা সূর্যাস্তের পর হতে ফজর পর্যন্ত প্রথম আকাশে এসে ঘোষণা করতে থাকেন, আছো কোনো পাপী আমার নিকট প্রার্থনা করবে ? আমি তার পাপ ক্ষমা করে দিবো। রিযিক প্রার্থী কেও আছো কি ? আমি তাকে রিযিক দান করবো। বিপদ হতে পরিত্রাণ পেতে চাও কেও কি আছো ? আমি তাকে বিপদ হতে উদ্ধার করে দিবো। এভাবেই ফজর পর্যন্ত আল্লাহতায়ালা তাঁর বান্দাহদের ডাকতে থাকেন।
হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, রাসুল (স.) এরশাদ করেন যে, শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে অর্থাৎ শবে বরাতে আল্লাহতায়ালা তার মাখলুকদের প্রতি বিশেষ রহমতের দৃষ্টি দেন অর্থাৎ এই রাতে আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে মাগফিরাতের দরজা খুলে দেন। সীমাহীন ফযিলতপূর্ণ রাত হলো এই লাইলাতুল বরাত।