দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার ৬ দেশে আনুমানিক ২ লাখ ২৮ হাজার শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। যাদের অধিকাংশই আবার খাদ্য সংকট, পুষ্টিহীনতা, টিকা না পাওয়া এবং যথা সময়ে স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ার কারণে মারা যায় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন একটি তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয় যে, আফগানিস্তান, নেপাল, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যাদের বয়স মূলত ৫ বছরের নিচে। এই অঞ্চলগুলোতে ১. ৮ বিলিয়ন মানুষের বসবাস।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, নারী, শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে করোনার কারণে। এই অঞ্চলে ১৩ মিলিয়ন মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যারমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি মানুষের।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতে ২০২০ সালে শিশু মৃত্যুর হার বেড়েছে ১৫.৪ শতাংশ। এরপরই রয়েছে বাংলাদেশ ১৩ শতাংশ। মাতৃমৃত্যুর হার বেড়েছে শ্রীলংকা ২১.৫ শতাংশ ও পাকিস্তানে ২১.৩ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কঠোর লকডাউনের কারণে দেশগুলোর স্বাস্থ্যসেবা খাত চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। এতে করে বেড়ে যায় মাতৃমৃত্যু এবং শিশুর মৃত্যুর হার।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।