দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই ভালো থাকতে চাই। কিন্তু সবার ভাগ্যে কিন্তু সেই সুখ নামের সুখ পাখিটি কিন্তু জোটে না। জীবনের অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও সেই ভালো থাকার বিষয়টি যেনো শুধুই সোনার হরিণ মনে হয়।
আমাদের জীবন ও মৃত্যুর মাঝখানে ব্যবধান মাত্র কয়েক সেকেন্ড অথবা মিনিটের। অমিত সম্ভাবনার এই জীবনের প্রতি মুহূর্ত উপভোগ করাই বেঁচে থাকার এক সৌন্দর্য।না পাওয়ার হতাশায় বুঁদ না থেকেই আমরা কি পেয়েছি তার হিসেব মেলাতে পারলেই জীবন ভরে উঠবে ভিন্ন এক মাধুরীতে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায় “ক্ষুদ্র দুঃখ সব তুচ্ছ মানি।
তাহলে কিভাবে ভালো থাকা যায়? কিভাবে আনন্দে বাঁচা যায়? সেই রহস্য খুঁজতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন বেশির ভাগ মানুষ। আকাশ ভরা তারার রাতে কিছুক্ষণ একাগ্রচিত্তে তাকিয়ে থাকুন আকাশের দিকে, দেখবেন অজান্তেই মন ভালো হয়ে যাবে। ঝুম বৃষ্টির দিনে ছোট বেলার স্মৃতি মনে করে এক পশলা বৃষ্টিতে ভিজতে পারেন কিংবা পছন্দের গান শুনুন- এ সব কিছুতেই ক্লান্ত মন শান্ত হবে এবং আনন্দ পাবে।
যান্ত্রিক জীবন হতে সপ্তাহে অন্তত একটি দিন কিছুটা সময়ের জন্য হলেও ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন পরিবার কিংবা প্রিয়জনকে নিয়ে। দেখবেন অজান্তেই আপনার মনটা আনন্দে ভরে উঠছে। প্রকৃতির মাঝে থাকে মন ভালো করার নানা উপাদান। সবুজ গাছপালা, খোলা হাওয়া, নানা রকম রঙিন ফুল, নরম ঘাস সবকিছুর সামনে নিজেকে উদারভাবে মেলে ধরুন।
আপনি পরিবারের ছোট্ট শিশুটির সঙ্গে মেতে উঠুন খেলায়। শিশুটির আনন্দ আপনাকেও আনন্দিত করবে। রাস্তায় বের হয়েছেন, অনাহারী মানুষ এসে দাঁড়ালো সামনে তার একবেলার ভালো খাবার দেওয়ার দায়িত্ব নিন, তখন তার চোখে যে আনন্দের ঝিলিক আপনি দেখতে পাবেন তাতে আপনিও পাবেন ভালো লাগার অপার্থিব এক আনন্দ। এতে করে আপনার মনটা ভালো হয়ে যাবে। এভাবেই ভালো থাকার চেষ্টা করুন। এক সময় দেখবেন আপনি সত্যিই ভালো আছেন। তাছাড়া আপনি আপনার পাশের একজনের কথা চিন্তা করুন। তিনি হয়তো আপনার থেকেও অনেকটা খারাপ আছেন। তাকে দেখলে আপনি নিজেকে মানদণ্ডে বিচার করলে বুঝতে পারবেন আপনি আসলেও অনেক ভালো আছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।