দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুরু হয়েছে রোজা। এবারের রোজা হচ্ছে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে। সুবহে সাদিকের আগে হতে সুর্যাস্ত পর্যন্ত টানা ১৪ ঘণ্টা না খেয়ে গরমের দিনে রোজা রাখা অনেকের জন্যই চ্যালেঞ্জ। প্রচণ্ড গরমে রোজায় সুস্থ থাকতে করণীয় জেনে নিন।
প্রচণ্ড গরমে এতো দীর্ঘ সময় পানাহার হতে বিরত থাকলে ডিহাইড্রেশন, মাথা ব্যাথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য রোজা ফরজ হওয়ায় সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান রোজা রাখেন।
এই গরমেও কীভাবে সুস্থভাবে রোজা রাখা যাবে, সে সম্পর্কে কিছু কৌশল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
সেহরি
রমজান মাসে মুসলিমরা শেষ রাতে সেহরি খেয়ে সারাদিন রোজা রাখেন। সেহেরি খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই সেহরি সারাদিনের কর্মশক্তি যোগায়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সেহরি না খেলে হিট স্ট্রেস হতে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুম পাড়া
ঘুম কম হলে মানুষ কাজ করার শক্তি হারিয়ে ফেলে। গরমে রোজা রেখে কম ঘুমালে হিট স্ট্রেস দেখা দিতে পারে। তাই দিনের বেলা যেহেতু রোজা রাখা হয় তাই রাতে বিশ্রাম নেওয়া অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।
চা-কফি
রমজান মাসের সময় চা, কফি বা কোমল পানীয় না খাওয়াই ভালো। কোমল পানীয় খেলেও তা যেনো সেহরির সময় না হয়। কারণ চা কফি শরীরকে আরও ডিহাইড্রেট করে দেয়। সেইসঙ্গে সেহরিতে চা, কফি খেলে প্রসাবের সঙ্গে শরীরের লবণ বের হয়ে যায় যা সারাদিন রোজা রাখার জন্য খুবই জরুরি।
সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকা
আমরা যানি সূর্যে শরীরের উপকারী ভিটামিন ডি থাকে। তবে গরমে রোদের মধ্যে যতোটা কম থাকা যায় ততোই ভালো। যাদের রোদের ভিতর কাজ করতে হয় তাদেরকে অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে কাজের মধ্যেও। তা না হলে রোজা রেখে গরমে হিট স্ট্রোকও হতে পারে।
তরল খাবার গ্রহণ
রোজা রেখে সারাদিনের প্রচণ্ড রোদ গরমে শরীরে পানি কিংবা পানিজাতীয় খাবারের চাহিদা থাকে অনেক বেশি। তাই ইফতার হতে সেহেরি পর্যন্ত বেশি করে পানি, পানিজাতীয় ফল, তরল খাবার বেশি করে খেতে হবে।
ধীরে সুস্থে খাওয়ার গ্রহণ
সারাদিন রোজা রাখার পর একসঙ্গে অনেক কিছু খাওয়া মোটেও ঠিক না। আস্তে এবং ধীরে ধীরে খাবার খেতে হবে। সারাদিনের রোজার পর ইফতার খাওয়া হলে মস্তিষ্কের বিষয়টি বুঝতে অন্তত ২০ মিনিট সময় লাগে। সেজন্য আপনাকে ধীরে সুস্থে খাবার খেতে হবে। সেক্ষেত্রে খেজুর ও লবণ পানি বা শরবত দিয়ে রোজা ভাঙাই উত্তম। কারণ এই খাবারগুলো দ্রুত মস্তিষ্কে সংকেত পাঠাতে সক্ষম।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান
আমাদের দেশে সারাদিন রোজা রেখে বেশিরভাগ মানুষ ভাজাপোড়া খেতেই খুব বেশি আগ্রহী। তবে প্রতিদিন এমন খাবার খেলে একেতো শরীরের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে তারপর ওজন চলে যাবে একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেজন্য তৈলাক্ত খাবার বাদ দিয়ে ফল-মূল, শাক-সবজি, প্রোটিন জাতীয় খাবার কিংবা দুগ্ধজাতীয় খাবার আপনাকে খেতে হবে। এভাবে এই গরমের রমজানে আপনাকে রোজাও রাখতে হবে আবার সুস্থ্যও থাকতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।