দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের জন্য ঘুম একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। তবে রাত হলে সময় মতো অনেকেই বিছানায় যান ঠিকই কিন্তু ঘুম আসে না কিছুতেই। যার এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের একটু সাবধান হতে হবে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে যেসব খাবার খাবেন না সেগুলো জেনে নিন।
ইদানিং ঘুম আসে না এমন সমস্যা অনেক মানুষকেই ভুগতে দেখা যায়। এই ঘুমের সমস্যা হতে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের রোগ- এমন আভাস দিয়েছেন গবেষকরা। তবে ঘুম না আসার জন্য দায়ী বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু খাবারের তালিকা।
মানব দেহের সুস্থ শরীরের চাবিকাঠিই হলো ঘুম। অনেকেই ঘুমানোর জন্য ঘুমের ওষুধের আশ্রয়ও নিয়ে থাকেন। তবে ঘুমের ওষুধের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। ঘুম ঠিকমতো না হলেই মেজাজ খিটখিটে, কাজে মন থাকে না, খাওয়ারে অনীহা দেখা দেয়।
এক জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষই ঘুমজনিত সমস্যায় ভোগেন। ঘুমে সমস্যা হলে সেখান থেকে দেখা দিতে পারে আরও অনেক ধরনের রোগ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী জানা যায়, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক এবং সুস্থ মানুষের অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ঘুমের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট রুটিনও মেনে চলা উচিত। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা ঘুমের আগে খাওয়া একদমই ঠিক নয়। কারণ ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি এমন খাবার খান, যা আপনার ভালো ঘুমের জন্য মোটেও সহায়ক নয়, তখন ঘুমে আরও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কফি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার ঘুমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই মিষ্টিজাতীয় খাবার দেখে যতোই খেতে ইচ্ছে করুক না কেনো, ঘুমের আগে একদমই খেতে যাবেন না। আইসক্রিম, চকোলেট, ক্যান্ডিবার ইত্যাদিতেও ফ্যাট রয়েছে। ঘুমানোর আগে ফ্যাটযুক্ত কোনো খাবারই খাবেন না। আবার একবাটি দুধে কর্নফ্লেক্স মিশিয়ে খাওয়া সকালে আদর্শ নাস্তা হতে পারে, কিন্তু ঘুমাতে যাওয়ার আগে কখনও নয়। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট ঘুম আসার পক্ষে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। কফির মতো চকোলেটও আবার ঘুম নষ্ট করে।
শাকসবজি, চিপস ও স্ন্যাকস জাতীয় খাবারও রাতে বর্জন করতে হবে। কারণ সবুজ শাকসবজিতে যেমন দেহের পুষ্টি হয়, তেমনই শাকসবজিতে থাকে প্রচুর ফাইবার যা খুব ধীরে পরিপাক হয়, যে কারণে ঘুম আসতে অনেক দেরি হয়। ভাজাভুজিতে প্রচুর পরিমাণে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট থাকে যা ঘুমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। চিপস, ভুট্টা, ভাজাপোড়া খাবার বা এই ধরনের বিভিন্ন খাবার বাইরে খাবেন না।
মাংস ও পাস্তা ঘুমে ব্যঘাত সৃষ্টি করতে পারে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে মাংস না খাওয়ায় ভালো। পাস্তা অত্যন্ত ফ্যাটি একটি খাবার। ঘুমের সময় এটি দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই ঘুমের আগে ঘরে তৈরি হালকা খাবার খাওয়াই ভালো। কারণ ঝাল বা রিচ খাবার আপনার শরীরে অস্বস্তির কারণও হতে পারে। তাতে আপনার ঘুম ভালো হবে না।
অ্যালকোহল হলো ঘুমের শত্রু। কারণ এটা শরীরের বিএমআর আর বাড়িয়ে দেয়। এতে একদিকে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, অপরদিকে রয়েছে ক্যালোরি। যে কারণে ঘুম আসার পক্ষে অন্তরায় সৃষ্টি করতে পারে এডটি। ঘুমানোর আগে অ্যালকোহল খেলে অনেকেই ভাবেন ঘুম হয়তো ভালো হয়৷ তবে বিষয়টি মোটেও্ সে রকম নয়৷ অ্যালকোহল মূলত রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছায়৷ যে কারণে মস্তিষ্কের নার্ভ শিথিল হয়ে যায়৷ এতে ঘোর ও ঘুম আসে৷ তবে সমস্যা হলো এই ঘুমে শরীরকে কোনো রকম বিশ্রামই দেয় না৷ আপনি ঘুমালেও সারারাত আপনার শরীর বার বার চেষ্টা করে যায় আপনার শরীর হতে অ্যালকোহল বের করার জন্য৷ যে কারনে আপনার পরদিন ঘুম ভাঙবে মাথা ব্যথা, তেষ্টা কিংবা শারীরিক নানা অস্বস্তি নিয়ে৷ তাই এটি বর্জন করতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।