দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই বলেন রাগ না থাকলে সে আবার মানুষ হয় কীভাবে? এটি মোটেও ঠিক নয়। কারণ রাগ মানুষের স্বাভাবিক একটি আচরণ হলেও এটি অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি জিনিস। রাগের কারণে মানুষের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হয়।
আমরা জানি মানুষ রাগ করবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে অতিরিক্ত রাগ মানুষের শরীরে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আবার রাগ প্রকাশ না করে মনের মধ্যে পুষে রাখলেও সৃষ্টি হতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। এমন স্বভাবের মানুষের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে বোল্ডস্কাই নামক একটি সংস্থা।
সংস্থাটি এক গবেষণা পেয়েছে যে, রাগ প্রকাশ করলে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ভালো কাজ, ঠিক তেমনই শরীরও ভালো থাকে। এটি ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অপরদিকে অতিরিক্ত রাগ প্রকাশ করলে তা শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক চাপে থাকলে মস্তিস্কে প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। যে কারণে ব্রেন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও বুকে ব্যথার ঝুঁকিও বাড়তে পারে।
স্ট্রোক সেন্টার বলছে যে, প্রতি বছর শুধুমাত্র আমেরিকায় প্রায় দেড় লাখ মানুষ স্ট্রোক করে মারা যান। যুক্তরাজ্যেও বেশিরভাগ মানুষ স্ট্রোকের কারণেই মারা যান। ভারতে বছরে প্রায় এক লাখ মানুষ স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুবরণ করেন।
অতিরিক্ত রাগ মানুষের শরীরে যেসব সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে সে সম্পর্কে এখন জেনে নিন:
১. উচ্চ রক্তচাপ, বুকে ব্যথা, মাইগ্রেন, তীব্র মাথাব্যথা, অ্যাসিডিটির মতো অনেক শারীরিক রোগও দেখা দিতে পারে।
২. মানুষ অতিরিক্ত রেগে গেলে শরীরে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়।
৩. যারা একটুতেই রেগে যান তাদের স্ট্রোক, কিডনির রোগ ও স্থূলত্বের ঝুঁকিও বাড়ে। আচমকা রাগের কারণে আমাদের মস্তিষ্কের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে যায়, যে কারণে মস্তিষ্কের রক্তনালিগুলো কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আর তখন স্ট্রোকও হতে পারে।
৪. অতিরিক্ত রাগের কারণে আলসার এবং বদহজমের মতো সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে।
৫. রাগ বেশি হলে হার্টের রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে এবং সে কারণে হৃৎপিণ্ডের পেশি ক্ষতিগ্রস্থও হতে পারে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ঘন ঘন রেগে গেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।
৬. আবার এই রাগ ত্বকের সমস্যারও কারণ হতে পারে। ক্রমাগত রাগ করার কারণে শরীরে র্যাশ, পিম্পল বা ব্রণের মতো ত্বকের নানান রোগও দেখা দিতে পারে বলে অভিমত দিয়েছেন বিশষেজ্ঞরা।
৭. যে ব্যক্তি হাসিখুশি থাকে, তার মন এমনিতেই খুব ভালো থাকে। অতিরিক্ত রাগের কারণে দেখা দিতে পারে ডিপ্রেশন কিংবা বিষন্নতা। সেইসঙ্গে বাড়তে পারে স্ট্রেস।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।