দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের পারিপার্শ্বিক নানা কারণে আমাদের উদ্বিগ্ন বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়তে হয়। অতি উদ্বেগের কারণে নানা মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়। আজ রয়েছে উদ্বেগ কমাতে যে ব্যায়ামগুলো করতে হবে- সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা।
অতি উদ্বেগের কারণে নানা মানসিক সমস্যা দেখা দেয়, তেমনি অনেক সময় শারীরিক উপসর্গও দেখা যায়। অতিরিক্ত উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তার কারণে দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শের পাশাপাশি কিছু ব্যায়াম করলে আপনি উপকার পেতে পারেন। অন্যান্য ব্যায়ামের মধ্যে অ্যারোবিক ব্যায়াম বেশ উপকারী। এতে যেমন মাংসপেশি শিথিল হয়, শরীরে রক্তের প্রবাহও ত্বরান্বিত হয়। মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ বাড়ার কারণে দুশ্চিন্তা কিংবা উদ্বেগ কমে যায়।
কী ধরনের ব্যায়াম করবেন?
আপনি যে কোনো ধরনের অ্যারোবিক ব্যায়াম যেমন সাইকেল চালানো, নাচ, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, জগিং ইত্যাদি যথোপযুক্ত ব্যায়াম হতে পারে। তবে যারা নতুন ব্যায়াম শুরু করবেন, অথবা হৃদরোগ বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ব্যায়াম শুরুর আগে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো। যে কোনো অ্যারোবিক ব্যায়াম শুরুর আগে ওয়ার্মআপও প্রয়োজন। ঢিলেঢালা পোশাক পরা ও আরামদায়ক জুতাও পরতে হবে। কিছু ব্যায়াম বাড়িতেই করা যাবে।
জগিং: জগিং খুবই সহজ একটি ব্যায়াম। ঘরের মধ্যে একটি ম্যাটে জগিং শু পরে দাঁড়াতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে ডান এবং বাঁ পা ওঠানামা করুন। কিছুক্ষণ পরই এই ওঠানামা দ্রুত করতে থাকুন। এভাবে ১০ হতে ৩০ মিনিট পর্যন্ত করতে পারেন। তবে ব্যায়ামের সময়টি ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে।
জগিং জাম্প: প্রথমে দুই পা ফাঁকা করে দাঁড়ান। তারপর দুই হাত ওপরে তুলে লাফ দিন। জগিং জাম্পে ১০ মিনিটে ১০০ ক্যালরি শক্তি খরচ হবে। ১০ হতে ৩০ মিনিট করতে পারেন এই ব্যায়ামটি।
দড়ি লাফ: মাত্র ২০ মিনিট দড়ি লাফে প্রায় ২২০ ক্যালরি শক্তি খরচ হয়ে থাকে। খুব সোজা ব্যায়াম হলেও এটি হলো উচ্চমাত্রার অ্যারোবিক ব্যায়াম। ১০ হতে ৩০ মিনিট পর্যন্ত করতে পারেন এই ব্যায়ামটি।
এ ছাড়াও যে কোনো একটি ব্যায়াম প্রতিদিন ৩০ মিনিট সময় ধরে করতে পারেন। আবার ইচ্ছে করলে এই তিন ব্যায়াম ১০ মিনিট করে মোট ৩০ মিনিট করতে পারেন। তবে ঘরের চেয়ে বাইরে সবুজ ঘাসে ঢাকা কোনো জায়গায় যেমন কোনো উদ্যান বা অক্সিজেনসমৃদ্ধ পরিবেশে ব্যায়াম করলে উদ্বেগ কমানোর ক্ষেত্রে আরও ভালো ফল পাওয়া পেতে পারেন। # উম্মে শায়লা রুমকি, ফিজিওথেরাপি পরামর্শক, পিটিআরসি’র লেখা অবলম্বনে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।