দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি যদি ক্লান্তি দূর করতে চান তাহলে এক কাপ চায়ের বিকল্প নেই। বিরামহীন কাজের মধ্যে এক কাপ চা এনে দিতে পারে নতুন উদ্যম। আরও অনেক রকম সুখবর রয়েছে চা পায়ীদের জন্য।
নিয়মিতভাবে প্রতিদিন ৩ কাপ করে চা-পান আপনাকে রক্ষা করবে হৃদরোগ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের আক্রমণ হতে। চা দুধসহ বা দুধ ছাড়া যেভাবেই পান করুন তা এই দু’টি রোগের ঝুঁকি কমাবেই। কেনোনা চা শরীরের খারাপ কোলেস্টোরেল কমাতে সাহায্য করে। রক্তের সুগার কমাতে অনেক বেশি সহায়তাও করে থাকে। নিয়মিত প্রতিদিন ৩ কাপ চা-পান রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
এক কাপ চা এ ১৫০-২০০ মিলিগ্রাম ফ্লেভোনোইড (পানিতে দ্রবণযোগ্য পলিফেনোলিক অণু) সরবরাহ করে থাকে। এক্ষেত্রে ২ কাপ চা ৫ গুণ সবজি থেকেও বেশি কাজ করে থাকে। ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত ৮৭ জন স্বেচ্ছাসেবী দৈনিক ৩ কাপ চা পান করে দেখেছেন যে, তাদের বিভিন্ন প্রকার রোগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপকার হয়েছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।
গবেষণাটি প্রকাশ করা হয় দ্য জার্নাল নিউট্রিশন বুলেটিনে। গবেষণা কমিটির সহকারী এবং টি এডভাইজরি প্যানেলের (ট্যাপ) সদস্য পুষ্টি বিজ্ঞানী ডে. কেরি রাক্সটন বলেছেন, আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি জনপ্রিয় পানীয় হলো এই চা। এতে অনেক বেশি উপকার রয়েছে। বিশেষত হার্টের ক্ষেত্রে এর উপকার অনেক বেশি। এতে দেখা যায় যে, আমরা দুধ দিয়ে বা দুধ ছাড়া যেভাবেই হোক চা পান করি তারও উপকার রয়েছে।
ট্যাপের অপর সদস্য ড. টিম বন্ড বলেন, ব্ল্যাক টিতে যে ফ্লেভোনোইড থাকে সেটি শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। বিশেষত হার্ট, স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিসের প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অনেক অবদান রাখে এই চা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।